দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুর আচরণ নিয়ে অনেক অভিভাবকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় শিশু বেশ রুঢ় আচরণ করে থাকে। আজ জেনে নিন শিশুর আচরণগত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে!
শিশুর আচরণ নিয়ে অনেক অভিভাবকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় শিশু বেশ রুঢ় আচরণ করে থাকে। আজ জেনে নিন শিশুর আচরণগত সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে!
যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেনো, তা যেনো আপনার, শিশুর ও পরিবারের জন্য সঠিক হয়। কোনো একটি সিদ্ধান্ত যা আপনি বিশ্বাস করেন না বা আপনার কাছে সঠিক মনে হবে না, তাহলে সে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না। আপনি যা বলছেন সে অনুযায়ী যদি কাজ না করেন, তাহলে এই ব্যাপারটি শিশুদের নজরে চলে আসে।
একবার কোনো কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে, তা করতে কখনও পিছপা হবেন না। কোনো কিছুর সমাধান হতে সময় নেবে সেটিই স্বাভাবিক। সঙ্গী, বন্ধু, অন্যান্য অভিভাবক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক বা আপনার চিকিৎসকের সাহায্য নিন। আপনি কি করতে চলেছেন সে সম্পর্কে কারও সঙ্গে আলোচনা করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় অটল থাকতে হয়। শিশুদের আচরণের প্রতি আপনি আজকে এক ধরণের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তীতে আরেক ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবেনা। শিশুর সংস্পর্শে বা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে যারা থাকেন, তারাও যাতে একই রকম পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করেন, সে বিষয়টির প্রতিও নজর রাখা দরকার।
যদি দিনের পর দিন আপনার শিশু বিরক্তিকর কাজ করতেই থাকে, তাহলে আপনার রাগ ও হতাশা বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদের উপর এই রাগ কিংবা ক্ষোভ প্রকাশ সহজ হতে পারে। যদি এই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে পুরো পরিস্থিতিই হাতের নাগাল থেকে বাইরে চলে যাবে।
কখনও কখনও বিরক্তি বা রাগ প্রকাশ না দেখানো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে, তবে অবশ্যই মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিশুকে একবার সেটি বলার পর, উভয় পক্ষই উপভোগ করে বা ভালো লাগে এমন কাজ বা বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। আপনি হতাশা কমানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করুন, যা হতে পারে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে আপনার অনুভুতি নিয়ে কথা বলা।
কোনো বিষয় অনুধাবন করার জন্য শিশুদের সব সময় কথা বলার সামর্থ্য থাকতে হয় না। যদি তারা বুঝতে পারে কেনো আপনি চাচ্ছেন কোনো কাজ তারা করুক, তাহলে সেটি উপকার বয়ে আনে।
শিশুরা কেনো রাগান্বিত বা মন খারাপ করে থাকে সেই বিষয়টি বোঝানোর সুযোগ দেন, তাহলে তাদের হতাশা কমাতে সহযোগিতা করবে।
ভালো আচরণ প্রদর্শনের জন্য শিশুকে পুরষ্কৃত বা উপহার প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করুন। যেমন ধরুন, তাদের প্রশংসা করুন বা চা বা নাস্তা গ্রহণের সময় তাদের প্রিয় খাবারও দিতে পারেন। যদি শিশুর আচরণ ভালো হয়, তাহলে এর জন্য আপনি আনন্দিত সে সম্পর্কে তাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। কোনো কাজ করার কথা বললে তা করার পূর্বে কখনও উপহার বা পুরষ্কার দিতে যাবেন না। কারণ তখন তা পুরষ্কার না হয়ে অনেকটা ঘুষের মতো কাজ করবে।
কোনো কাজ করার মুহূর্তে শিশুকে মারলে তা ওই সময় কাজটি করা হতে শিশুদের থামাতে হবে, তবে মারা বা প্রহার কখনও দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে না।
This post was last modified on মে ২৭, ২০১৯ 12:33 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সংস্থায় কাজ করতে হলে কর্মীদের মেনে চলতে হয় বিদ্ঘুটে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শরীরচর্চা করলে শরীর ফিট থাকে। ওজনও তখন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার এবং এয়ারমার্স ব্র্যান্ডের এআইওটি (আর্টিফিশিয়াল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৩ সালে ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল দিয়ে বক্স অফিসে ঝড়ো ইনিংস শুরু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, আহত ওই মধ্যবয়সি ব্যক্তির নাম…