যমজ ভাইবোন: অথচ বয়সের ব্যবধান ১১ সপ্তাহ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যমজ ভাইবোনের জন্মের ঘটনা সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানা। তাদের জন্মের ব্যবধান হয়তো কয়েক সেকেণ্ড, মিনিট কিংবা এক দুই ঘণ্টা বা একদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে এবার এক জমজের বয়সের ব্যবধান হলো ১১ সপ্তাহ!

তবে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। কারণ এবার যমজ ভাইবোনের জন্মের ব্যবধান ১১ সপ্তাহ, এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কাজিকিস্তানে।

২৯ বছর বয়সী লিলিয়া কোনোভালোভা নামে এক মহিলা ১১ সপ্তাহের ব্যবধানে যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জানা গেছে, লিলিয়া তার প্রথম যজম অর্থাৎ মেয়ের জন্ম দেন ২৪ মে। তারপর যমজ ছেলেটি জন্ম নেয় ৯ আগষ্ট।

এমন ঘটনা কোটিতে একটা ঘটলেও কাজিকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে, তাদের দেশে এমন ঘটনা এটিই প্রথম।

লিলিয়া যখন ২৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তখন লিলিয়া মেয়ে শিশুরটির জন্ম দেন। লিয়া নামের ওই শিশুটির তখন ওজন ছিলো মাত্র ৮০০ গ্রাম। যে কারণে তাকে এক মাস ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়।

আড়াই মাসেরও বেশি সময় পরে ২ দশমিক ৮০০ গ্রাম ওজন নিয়ে লিয়ার যমজ ভাই মেক্সিম জন্ম নেয়। লিলিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ের তাড়া থাকলেও ছেলের পৃথিবী আসার তাড়া ছিল না, তাইতো একটু দেরি করে এসেছে।’

অস্বাভাবিক হলেও প্রাকৃতিকভাবেই লিলিয়ার দুইটি জরায়ু থাকায় দুই যমজের জন্মের ব্যবধান এতো বেশি হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলা হয়ে তাকে ‘ডিডেলফিস’। তারা বলেছেন, ওই নারীর এই সমস্যা থাকার কারণে যমজ দুই ভাইবোন আলাদা আলাদা জরায়ুতে বেড়ে উঠে।

জানা যায় যে, লিলিয়ার প্রথম সন্তানের বয়স ৭ বছর। কোনো রকম সমস্যা ছাড়াই তার জন্ম হয়েছিলো। তবে দ্বিতীয়বার সন্তান নিতে গিয়েও তার সমস্যাটি ধরা পড়েছিলো।

যে হাসপাতালে লিলিয়ার যমজ সন্তানের জন্ম হয়েছে সেখানকার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ওই নারীর প্রথম যমজ সন্তানটি জন্ম নেওয়ার পর আমরা তার সমস্যাটা বুঝতে পারি। সে কারণে দ্বিতীয় যমজ জন্মানোর আগ পর্যন্ত তার বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়’। তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম যমজ জন্ম নেওয়ার পর হতে লিলিয়া হাসপাতালেই ছিলেন। মেয়ের সেবা যত্ন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে অধীর আগ্রহে দ্বিতীয় যমজের জন্যও অপেক্ষা করেছেন’।

লিলিয়া জানিয়েছেন, মেয়ের জন্মের সময় এমন সমস্যার কথা জানতে পেরে তিনি প্রথমে হতভম্ভ হয়ে যান। তিনি বলেন, ‘ আমার মেয়েটি অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়ার কারণে তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। তবে এখানকার চিকিৎসকদের দক্ষতা ও চেষ্টার কারণে আমার দুই সন্তানই এখন সুস্থই রয়েছে’।

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দুইটি জরায়ুতে পৃথকভাবে শিশুর বেড়ে ওঠা যেমন বিস্ময়কর তার চেয়েও বিস্ময়কর এতোটা সময়ের ব্যবধানে দুই যমজের জন্মগ্রহণ করা।

This post was last modified on আগস্ট ২১, ২০১৯ 3:15 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার…

% দিন আগে

বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাকিব খান!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে…

% দিন আগে

৬ মাসে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহত ১৩ হাজার শিশু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় গত ৬ মাসে নিহত শিশুদের সংখ্যা আঁতকে উঠার…

% দিন আগে

আপনার চরিত্র কেমন তা আপনার আঙুলের আকৃতিই বলে দেবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…

% দিন আগে

সিলেটের মালিনিছড়া চা বাগানের দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়া কী আদৌ শরীরের জন্য ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…

% দিন আগে