দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শব্দের চেয়ে চার গুণ দ্রুতগতির একটি যান যেটিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে। এই যানটি এক লক্ষ ২০ হাজার ফুট উপরে পৌঁছাতে মাত্র সময় নিয়েছে দুই ঘন্টা।
অবাক করা হলেও এটি সত্য যে শনিবার ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের একটি পরীক্ষা চালনা করা হয়। এটি পরবর্তীতে ভুমিতে ফিরে আসার সময় প্যারাসুটে জট পাকিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর উপরে পড়ে যায়। তবে এটিকে সফল ইতিবাচক পরীক্ষা হিসেবে দেখছে প্রকৌশলীরা। ভবিষ্যতের পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এটা অনেক সাহায্য করবে বলে অনেকেই ধারণা প্রকাশ করছেন। এটা হতে পারে আগামীতে মহাকাশ বিশ্লেষণের একটি চমৎকার যান। সম্প্রতি যানটির ‘বস্ন্যাকবক্স’ খুঁজতে এরমধ্যে জাহাজ পাঠানো হয়ে গিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে যার মধ্যে রয়েছে মহাকাশের অনেক জানা অজানা তথ্য।
এই মহাকাশ যানের ‘বস্ন্যাকবক্স’ এর নানাবিধ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে চান বিজ্ঞানীরা কারণ তাদের ধারণা এতে পাওয়া যেতে পারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপনি জানেন ঠিক কতটা সময় পৃথিবীর বাইরে থাকতে পারে মহাকাশে যাওয়া নভোচারীগণ? এই ব্যাপারটি নিয়ে পরীক্ষা করে চলেছে নাসা দিনের পর দিন। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩৫০ দিন অর্থাৎ প্রায় এক বছরের মত সময় ধরে দুজন নভোচারীকে মহাকাশে অবস্থান করার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নাসা কর্তৃপক্ষ। নাসা আরো তথ্য প্রকাশ করেন আগামী বছর হাওয়াই থেকেই আরো দুটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করতে চলেছেন তারা। এ প্রকল্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে কাজ চলছে অনেকদিন যাবত নাসা কর্তৃপক্ষ। মহাকাশের নানাবিধ সাফল্যের মধ্যে অন্যতম একটি সাফল্য হলো প্রায় আট বছর পর লম্বা ভ্রমন শেষ করে বামন গ্রহ সেরেসে-এ প্রবেশ করেছে নাসার একটি মহাকাশযান যার নাম ডন। অবতরণ দ্বারা এই প্রথম সেরেসে কোন মহাকাশযান পাঠানো সম্ভব হয়েছে যা একটি বিশাল সাফল্য হিসেবে দেখছে নাসা কর্তৃপক্ষ।
নাসার গবেষকদের মতে পুরোপুরি পরিকল্পনামতো ও সঠিক ভাবে একেবারে নির্বিঘ্নে এবং সঠিক নিয়মে সেরেসে ঘুরপাক খাচ্ছে ডন নাম কারি মহাকাশযানটি। এটি সেরেসের নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরপাক খাচ্ছে এবং সঠিকভাবে কাজ করে চলেছে বলে মত প্রকাশ করেন নাসা কর্তৃপক্ষ। সেরেসে পৌঁছাতে মহাকাশযানটির অনেক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে যা সংখ্যা প্রায় ৩ বিলিয়ন মাইল। এটি মানব জাতির সাফল্যের একটি বিশেষ অবদান যা আয়ন প্রোপালশন ইঞ্জিনের দক্ষতা ও তাদের উচ্চমনবলের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সেরেছে পৌঁছানোর পর পৃথিবীপৃষ্ঠে সেরেসের ছবি অন্যান্য তথ্য পাঠানো শুরু করে দিয়েছে মহাকাশযান ডন।
সেরেসে প্রায় ৬০০ মাইল ব্যাস বিশিষ্ট পাথুরে একটি গ্রহ। এটি রোমান কৃষিকার্যে দেবীর নামে নামকরণ করা হয় যা প্রায় ১৮০১ সালে আবিষ্কার করা হয়েছিল। এটিকে গ্রহাণু হিসেবে ধরা হয় যার ফলে এটি কে বামন গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং একটি অন্যান্য গ্রহের মতোই গোলাকার। সৌরজগতে যত গ্রহ আছে সবগুলোর প্রতি আগ্রহ রয়েছে আমাদের বিজ্ঞানীদের যার ফলে গ্রহদের সঠিক অবস্থান ও অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য নিখুদ ভাবে কাজ করে চলেছে বিজ্ঞানীরা। কোন গ্রহে কি হচ্ছে বা কি ঘটতে চলেছে তা জানার জন্য যেন উৎসুক হয়ে বসে রয়েছেন প্রকৌশলী ও বিশ্লেষকরা। এ সকল বিষয় জানার আগ্রহের ফলে আকাশ জয়ের পথে চলছে হাজারো পরিকল্পনা।
This post was last modified on অক্টোবর ২৭, ২০১৯ 10:07 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন প্রজন্মের কাছে ভিষণ জনপ্রিয় মুখ এম আসিফ রহমান। ওয়ার্ডপ্রেস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবারের রোজার ঈদে ইত্যাদির বিশেষ পর্বে গায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন যে, ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মূলত এই ছবিটি একটি হাতে আঁকা কার্টুন। তবে গল্পটি বহুপুরনো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন-যাপনে কিছু নিয়ম করে চলা উচিত। কারণ নিয়ম করে না…