ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে ছিলো পাকিস্তান। কিন্তু শেষবেলায় সব হিসেব নিকেশ উল্টে ক্রিকেট যে শেষবল পর্যন্ত চিরন্তন অনিশ্চয়তার খেলা সেটি আবারও মনে করিয়ে দিলেন উইন্ডিজের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান জেসন হোল্ডার। তৃতীয় ওয়ানডেতে নবম উইকেটে খেলতে নেমে হোল্ডারের ৯ বলে ১৯ রানে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ টাই করে বসে উইন্ডিজ। ৬ উইকেটে ২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে উইন্ডিজ ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে সমান ২২৯ রান। অবশ্য এজন্য পাক-উইকেট রক্ষক কামরান আকমলের অবদানও কম নয়, ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে তিনি হোল্ডারের স্টাম্প ভাঙতে ব্যর্থ হন।
টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয় উইন্ডিজ। সিদ্ধান্তটি যে অপ্রতুল ছিলো না সেটি ভালোভাবেই প্রমাণ করে উইন্ডিজ বোলাররা। উকেট ফেলতে না পারলেও রানের চাকা দারুণভাবে আটকে রেখেছিলো তারা ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই। উইন্ডিজের দারুণ বোলিংয়ের কারণে পাকিস্তানের ১০০ রান তুলতে লেগে যায় পুরো ৩১ ওভার। অবশ্য উদ্বোধনী উইকেটে ৩৯ রান যোগ করে পাকিস্তানকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন আহমেদ শেহজাদ এবং নাসির জামশেদ।
পরপর দু’ওভারে শেহজাদ এবং জামশেদকে তুলে নেন যথাক্রমে হোল্ডার এবং স্যামী। সেখান থেকে দীর্ঘ ১৫ ওভার ব্যাট করে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন অধিনায়ক মিসবাহ এবং মোহাম্মদ হাফিজ।
রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য উইন্ডিজ টপ অর্ডার ভেঙেই পড়ে যাচ্ছিলো পাক বোলিং আক্রমণের মুখে। মাত্র ৪ ওভারে ১৬ রানে গেইল এবং চার্লসকে হারিয়ে বসে তারা। উইকেট দুটো নেন জুনায়েদ খান এবং মোহাম্মদ ইরফান। তৃতীয় উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন ড্যারেন ব্র্যাভো এবং মারলন স্যামুয়েলস।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২২ ওভার ব্যাটিং করে ৯১ রান যোগ করেন স্যামুয়েলস-সিমন্স জুটি। ১০৬ বলে ৪৬ রান করে ধুঁকতে থাকা স্যামুয়েলস অবশেষে প্যাভিলিয়নের পথ খুঁজে পান ইরফানের বলে স্টাম্পড হয়ে। এরপরেই ক্ষণিকের জন্য দিশেহারা হয়ে পরে উইন্ডিজ লাইন-আপ। ১৭৮ রানে ৫ উইকেট থেকে ২০৫ রানে ৯ উইকেটে পরিণত হয় তারা। অষ্টম উইকেটে ৫ বলে ১৪ রান করে সুনীল নারাইনে উইন্ডিজকে কিছুটা এগিয়ে দেন। ৪৮ তম ওভারে ১৫ রান তোলেন তিনি।
এরপর নবম উইকেটে খেলতে নেমে জেসন হোল্ডার ৯ বলে ১৯ রান তুলে পাকিস্তানের বিপক্ষে উইন্ডিজের টাই এনে দেন। সবচেয়ে উত্তেজনাকর দৃশ্য ছিলো, যখন শেষ বলে প্রয়োজন ছিলো ২ রান। ক্রিজে থাকা হোল্ডার এবং কেমার রোচ দৌড়ে রান নিলেও আকমলের সুযোগ ছিলো স্টাম্প আউট করার, তিনি সেটা কাজে লাগাতে পারেননি।
এরফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা বহাল রইলো। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রথম ম্যাচে ১২৬ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৭ রানে জিতে সিরিজে সমতা আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লম্বা ইনিংস খেলায় মিসবাহ এবং সিমন্স উভয়কেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। সিরিজের চতুর্থ ওডিআই ম্যাচ হবে ২১ তারিখ।
This post was last modified on জুলাই ২০, ২০১৩ 1:32 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘড়ির কাঁটা ধরে খাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, শুধু ডায়েট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পুরো বিশ্বই প্রযুক্তির উৎকর্ষে আবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্যাটেলাইট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওম্যান অব দ্য ইয়ার’ এবার ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐক্য সম্মেলনে ইরানের জাতীয় সংগীতে দাঁড়ালেন না আফগান মন্ত্রী: কিন্তু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলন্ত ট্রেনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক তরুণী। পাদানিতে দাঁড়িয়ে ট্রেনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ আশ্বিন ১৪৩১…