অর্থনীতি

মালটা চাষে সাফল্য নিয়ে এসেছেন সাখাৎয়াত হোসেন বাবলু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ সত্যিই এক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার হেমাতপুর গ্রামে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও মালটা চাষ করে সফল হয়েছে মো: সাখাওয়াত হোসেন বাবলু ।

মালটা চাষে সাফল্য নিয়ে এসেছেন সাখাৎয়াত হোসেন বাবলু 1মালটা চাষে সাফল্য নিয়ে এসেছেন সাখাৎয়াত হোসেন বাবলু 1

সরকারি চাকুরীজীবী মো: সাখাওয়াত হোসেন বাবলু বর্তমানে একই দাগে ৩২ বিঘা জমিতে মালটা চাষ করছেন।পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমানে সফলতার দ্বার প্রান্তে চলে এসেছেন তিনি। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালটা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে এই মৌসুমে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রথম পর্যায়ে কেওই খোঁজ না করলেও, বর্তমানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দামুড়হুদা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও।

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ানের ভগিরথপুর গ্রামের পুরাতন পাড়ার শিক্ষক আব্দুর রহমানের ছেলে হলেন সাখাওয়াত হোসেন বাবুল। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনিই বড়।

২০১৩ সালের প্রথম দিকে খুলনা কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট হতে দুই হাজার টাকা দিয়ে ২০টি বারি মালটা-১ জাতের গাছ কেনেন তিনি। প্রথমে ১৪ কাঠা জমিতে গাছগুলো রোপণ করেছিলেন। গাছ লাগানোর এক বছর পর গাছগুলো কলম করে চারা গাছ তৈরি করেন তিনি। তারপর গ্রামের ৫ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২ বছরের জন্য বিঘা প্রতি বছরে ৮ হাজার টাকায় জমিও লিজ নেন । কয়েক বছর পর আরও ২৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে প্রায় ৪ হাজার কলম মালটার চারা গাছ রোপণ করেন।বর্তমানে একই দাগে ৩২ বিঘা মালটা রয়েছে বাবলুর। গাছ লাগানোর দুই বছর পর ফুল আসতে শুরু করে দেয়। বর্তমানে গাছের ডালে ডালে মালটার ফলে ভরপুর।

প্রতি বিঘা জমিতে বছরে ৫৫-৭০ মণ মালটার ফল পাওয়া যাবে। যেটি বিক্রি হবে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকাতে। মালটার ফলন ভালো হলে বছরে কোটি টাকার মালটা বিক্রি হবে। প্রতি কেজি মালটা ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

মালটার বাগান করতে ৫ বছরে এই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৯ লাখ টাকা। উঁচু জমিতে মালটার গাছ রোপণ করতে হয়। বাগানে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সারই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ৫ হতে ৬ হাত দুরত্বে গাছের চারা রোপণ করতে হয়। একটি মালটা গাছ হতে বছরে ৩২০-৩৮০টি ফল পাওয়া যায়। মালটা বাগানে ৯ জন শ্রমিক ২৫০টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছে।

মালটা চাষ সম্পর্কে তিনি জানান, যখন গ্রামে মালটা বাগান করি, তখন গ্রামের মুরুব্বিরা আমাকে বলতেন বাবুল একটা গাছপাগল। কারণ হলো ধান,পাট ও গম চাষ করাই কঠিন সেখানে মালটা চাষ করা পাগলামি। এখন তার সফলতা দেখে সবাই আশ্চর্য হন! কাছে ডেকে শুনতে চান পাগলের গল্প।এছাড়াও যেকোনো গাছ লাগানো তার নেশাই পরিণত হয়েছে।

বাগানের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, মালটা বাগানে কাজ করে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতাও দূর হয়েছে। ইতিপূর্বে বছরে কিছু নির্দিষ্ট সময় কাজ থাকতো। যার কারণে সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো।

মালটা বাগান সম্পর্কে নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বাবুলের সফলতা দেখে গ্রামের অন্য বেকার শিক্ষিত যুবকরা মালটা বাগান তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যুবকরা মালটা চাষ করলে গ্রামে বেকারত্ব থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তথ্যসূত্র: http://www.bdlive24.com

This post was last modified on মার্চ ২৭, ২০২০ 7:14 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ধ্বংসস্তূপে পাওয়া যাচ্ছে কঙ্কাল: গাজায় দুই দিনে অন্তত ১২০ গলিত মরদেহ উদ্ধার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনে গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় পর হামাস-ইসরায়েলের…

% দিন আগে

১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে অস্ত্রোপচার করে পাঁজরের কাটা হাড়ের মুকুট তৈরির অদ্ভুত খায়েস!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমিলি নামে এক নেটপ্রভাবী অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন।…

% দিন আগে

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল ও কর্মব্যস্ত মানুষ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৮ মাঘ ১৪৩১…

% দিন আগে

ওজন কমাতে নজর দিতে হবে ডিনারে: রুটি-তরকারি ছাড়া আর কী খাওয়া যাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ওজন কমাতে হলে ডায়েট ছাড়া উপায় নেই।…

% দিন আগে

ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইট

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ব্রিটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে অ্যালামনাই ইউকে গালা নাইটের…

% দিন আগে

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-২০ বিশ্বকাপ টফি’তে দেখুন বিনামূল্যে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলার বাঘিনীরা। ইতোমধ্যে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের…

% দিন আগে