দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি বৃষ্টি হলো প্রকৃতির এক আশীর্বাদ। এই বৃষ্টিতে গাছপালা-মাঠের ফসল সবকিছুই তরতাজা হয়ে উঠে। এমনকি মানুষের জীবনেও নেমে আসে স্বস্তি। আজ রয়েছে কখনই বৃষ্টি হয় না এমন এক গ্রামের গল্প!
বৃষ্টি হয় না এমনটি শোনা যায় না, পৃথিবীর সব অঞ্চলে কম বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। মরুভূমি হতে সমতল বা পাহাড়ি এলাকা সর্বত্রই বৃষ্টির ছোঁয়া লাগেই। তবে পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যে গ্রামে কখনও বৃষ্টিই হয় না।
সবচেয়ে আশ্বর্যের বিষয় হলো, এটি মরুভূমির কোনো স্থানই নয়। অবাক করা বিষয় হলো এখানে রীতিমতো মানববসতিও বিদ্যমান। রয়েছে সুন্দর বাড়িঘর এবং প্রাচীন স্থাপনাও। প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে এই গ্রামে। ক্ষেত-খামারও রয়েছে এখানে।
আজব এই গ্রামটির নাম হলো আল হুতাইব। ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রশাসনিক এলাকা জাবল হারজের পার্বত্য অঞ্চলে এই গ্রামটির অবস্থান। তবে বেশ সমৃদ্ধ একটি গ্রাম। এখানে স্কুল, মাদ্রাসা-মসজিদ সব কিছুই রয়েছে। এমনকি ষোড়শ শতকের একটি স্থাপনাও রয়েছে। অর্থাৎ স্বাভাবিক আর দশটা গ্রামের মতোই এই গ্রামও। তবে অন্য গ্রাম হতে এর পার্থক্য হলো, অন্য গ্রামগুলো যখন বছরের কোনো না কোনো সময় বৃষ্টিতে ভিজে সিক্ত হতে দেখা যায় তখন এই আল হুতাইব গ্রামটি থাকে একেবারে শুকনো খটখটে।
তাহলে কেনো বৃষ্টি হয় না এই গ্রামে? কেনোই বা প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ। এর একটি কারণ হলো এই গ্রামটি সমতল হতে অনেক উঁচুতে অবস্থিত। এই গ্রাম আল হুতাইব প্রায় ৩ হাজার ২০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই উচ্চতার কারণেই এখানে কোনো বৃষ্টিপাত হয় না। স্বাভাবিক বৃষ্টির মেঘ জমে সমতল হতে ২ হাজার মিটারের মধ্যেই। তাই আল হুতাইবের উপরে মেঘও জমে না এবং বৃষ্টিও হয় না।
তবে এই বৃষ্টি না হওয়া নিয়ে তাদের কোনো রকম মাথা ব্যাথাই নেই। এখানকার বাসিন্দারা এই প্রকৃতির সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিয়ে বংশ পরম্পরায় বসবাসও করছেন।
আরব মালভূমির দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ইয়েমেন রাষ্ট্র। এই দেশটির পর্বতময় অভ্যন্তরভাগ পশ্চিম, দক্ষিণ এবং পূর্বে সরু উপকূলীয় সমভূমি ও উত্তরে সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্তে মরুভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত। লোহিত সাগরের উপকূল ঘেঁষে প্রলম্বিত প্রায় ৪১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ অর্ধ-ঊষর উপকূলীয় সমভূমিটিও তিহামাহ নামেই অধিক পরিচিত।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুলাই ৬, ২০২০ 10:19 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…