দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান এই যুগে কোনও মানুষের নাম প্রকাশ করা যাবে না- সেটি যেনো কল্পনার বাইরে। তবে পৃথিবীতে এমনও দেশ বিদ্যমান, যেখানে অপরিচিত মানুষের কাছে মেয়েদের নাম বলা নিষেধ!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আফগানিস্তানের সমাজে এটিই চলছে। ‘বাইরের অপরিচিত’ মানুষের কাছে মেয়েরা তাদের নাম গোপন রাখতে বাধ্য হন পরিবারের চাপেই। এমনকি চিকিৎসকের কাছেও নাম বলা যাবে না বলে নিয়ম রয়েছে!
আফগানিস্তানের এক নারী অনেক জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই নিয়ম হলো চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে রোগীর নাম লিখতে গিয়ে তার নাম জেনে নিয়েই লিখলেন। সেই প্রেসক্রিপশন স্বামীকে দিলেন ওষুধ আনতে। তা দেখেই ক্রোধে ফেটে পড়লেন ওই স্বামী। বাইরের ‘একজন অপরিচিত পুরুষের কাছে’ নাম প্রকাশ করার জন্য ওই নারীকে পেটাতে শুরু করলেন স্বামী!
এটি আজকের সমস্যা নয়, এই সমস্যাটির শুরু একজন কন্যা সন্তানের জন্মের সময় হতেই। বহু বছর পর্যন্ত তার কোনো নামই থাকে না। তাকে নাম দিতেই গড়িয়ে যায় কয়েক বছর। একটি মেয়ের যখন বিয়ে হয়, তখন বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে কোথাও তার নামই উল্লেখ করা হয় না। সে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনেও প্রায়শই তার নাম উল্লেখ করা থাকে না। সে যখন মারা যায়, তখন তার মৃত্যু সনদেও লেখা হয় না তার নাম! এমনকি কবরের স্মৃতিফলকেও সে নামহীনই রয়ে যায়!
এই বিষয়টি অবাক করার মতো বিষয়, তবে এটিই আফগানিস্তানে নারীদের স্বাভাবিক চিত্র। মেয়েরা তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার করলে সমাজ তাকে ভালো চোখে দেখে না। এমনকি আফগানিস্তানের অনেক জায়গায় মেয়েদের নাম ব্যবহার করাকে পরিবারের জন্য অপমানজনক বলেও মনে করা হয়।
বহু আফগান পুরুষও তাদের বোন, স্ত্রী বা মায়ের নাম প্রকাশ্যে কখনও উচ্চারণ করেন না। কারণ বাইরে তাদের নাম বলা লজ্জার ও অসম্মানজনক মনে করা হয়ে থাকে। নারীদের সাধারণত পরিচয় দেওয়া হয় পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্কের সূত্র ধরেই। যেমন- অমুকের মা, অমুকের বোন বা অমুকের মেয়ে ঠিক এইভাবে!
আফগান আইনেও শিশুর জন্ম সনদে শুধু বাবার নাম নথিভূক্ত করার বিধান রয়েছে। এতে ব্যবহারিক কারণে নানা সমস্যাও হয়, সেইসঙ্গে মানসিক দিক দিয়েও এর একটা প্রভাব থাকে।
যে কারণে আন্দোলনে নেমেছেন বেশ কিছু নারী। তারা চাইছেন তাদের নাম প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হোক। তাদের আন্দোলনের নাম তারা দিয়েছেন “হোয়্যারইজমাইনেম?” – অর্থাৎ আমার নাম কোথায়? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও পোস্টারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন ওইসব আন্দোলনকারী নারীরা।
আবার কেও কেও এই আন্দোলন নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেছেন, কেও মস্করাও করে বলেছেন, পরিবারের মধ্যে শান্তি বজায় রাখাটাই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।
তবে আফগানিস্তানের তারকা ও বিশিষ্ট কিছু মানুষ এই আন্দোলনকে সমর্থনও করছেন। সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ফারহাদ দারিয়া এবং সঙ্গীত রচয়িতা আরিয়ানা সাঈদ প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের পক্ষে রয়েছেন।
“আফগানিস্তানের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের পরিচিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রধান কারণ হলো, পুরুষরা তাদের ‘সম্মান রক্ষায়’ নারীদের সারা শরীর ঢেকে রাখতেই শুধু বাধ্য করেন তা না, তারা চান মেয়েদের নামটিও ঢেকে রাখতে” বলেছেন আফগান সমাজবিজ্ঞানী আলী কাভে।
আফগান চিকিৎসক শাকারদক্ত জাফারী মনে করেন যে, ‘আফগান নারীকে তার নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরতে হলে তার আর্থিক, সামাজিক এবং মানসিক স্বাধীনতারও প্রয়োজন রয়েছে। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সফল হওয়া সত্যিই কঠিন, সেখানে এই বৈষম্য দূর করতে হলে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
নারীদের নাম প্রকাশের অধিকারের বিষয়টি ইতিমধ্যেই আফগান সংসদেও উঠেছে। মারিয়াম সামা সংসদে এই আন্দোলনের পক্ষে কথাও বলেছেন। তবে ‘হোয়্যারইজমাইনেম?’ নামের এই আন্দোলন নিয়ে রাজনীতিকরা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন, তার ওপরই মূলত নির্ভর করছে এই আন্দোলনের ভবিষ্যত বিষয়টি।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুলাই ২০, ২০২০ 2:37 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে আগুন জ্বালানো নিষেধ থাকে সেটি আমাদের সকলেরই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২১ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেন, খালি পেটে পেঁপে খাওয়া মোটেও ভালো নয়। এতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের পানির নিচে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন বছরের শুরুতেই সিনেমাপ্রেমীরা হিসাব কষতে বসেন, নতুন বছরে প্রিয়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফের হ্রদে আটকে পড়ে অজানা কারণে কিংবা ভয় পেয়ে কুকুরটি…