মহাকাশতো নয় যেনো এটি গ্রিক পুরাণের অশ্বমানব!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসে এই প্রথম এক কিম্ভূত মহাজাগতিক বস্তুর হদিশ পাওয়া গেলো। যা কোনও মহাজাগতিক পাথর নয়। আবার এটি নয় কোনও ধূমকেতুও। তবে এ দু’য়ে মিলেমিশে হয়েছে কিম্ভূত এক চেহারা- যেনো গ্রিক পুরাণের অশ্বমানব!

বিজ্ঞানীরা এটির নাম দিয়েছেন ‘পি/২০১৯ এলডি-২’। এই কিম্ভূত চেহারার মহাজাগতিক বস্তুটি প্রথম নজরে এসেছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় বসানো অ্যাটলাস টেলিস্কোপের মাধ্যমে। নজরে আসে চলতি বছরের মে মাসে।

এরা এমন বাউন্ডুলে যে, এদের কোনও নির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই। তারা আবার কখনও হয়তো প্রদক্ষিণ করছে কোনও একটি কক্ষপথে। আবার ঠিক তার পরক্ষণেই তাকে দেখা যাচ্ছে পাক মারতে- অন্য একটি কক্ষপথে।

Related Post

অনেকটা যেনো সেই গ্রিক পুরাণের অশ্বমানবের মতো! না মানুষ, না ঘোড়া। যেনো এক কাল্পনিক জীব ‘সেনটাওর’। গ্রিক পুরাণ বলছে যে, এই অশ্বমানবরা খুব ভালো মানের তিরন্দাজ তো বটেই, জ্যোতিষ শাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেও তারা যথেষ্টই পারদর্শী ছিলেন। হিন্দু পুরাণে বিষ্ণুর আর এক অবতার হলো ‘হয়গ্রীব’। যার মাথাটা ঘোড়ার মতোই। শরীরের বাকি অংশটা চার হাতের বিষ্ণু।

গ্রিক ও হিন্দু পুরাণের তেমনই এক কিংবদন্তীর দেখা পাওয়া গেছে এবার মহাকাশে। এর আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি অনলাইনে আসে গত ১০ আগস্ট।

এই বিষয়ে ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক অশোক সেন বলছেন, ‘সভ্যতার ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কেও চাক্ষুষ করতে পেরেছেন, এমন কোনও রেকর্ড অন্তত এখন পর্যন্ত নেই। এখানে একটা গ্রহাণু (অ্যাস্টারয়েড) যেনো ধীরে ধীরে ধূমকেতু হয়ে উঠছে। যে কারণে কীভাবে ধূমকেতুর জন্ম হয়, এই প্রথম তা চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়েছে। যা এর আগে কখনও দেখা গিয়েছে বলে জানাও নেই। তাই বলা যায় এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা।’

ধূমকেতুগুলো আসে সাধারণতভাবে এই সৌরমণ্ডলের দু’টি মুলুক থেকে। এটি একটি- ‘কুইপার বেল্ট’। অপরটি, ‘ওরট্‌ ক্লাউড’। এই দু’টিই বরফের রাজ্য। নেপচুনের পরেই থাকা কুইপার বেল্টটিকে যদি বলা হয়ে থাকে বরফের সাম্রাজ্য, তা হলে সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা ওরট্‌ ক্লাউড আসলে বরফের মহাসাম্রাজ্যই। সাধারণত ধূমকেতুর মাথায় থাকে প্রচুর বরফ। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সেগুলো যতো কাছে আসে, ততোই সূর্যের তাপে ধূমকেতুগুলির মাথার বরফ গলে গিয়ে তা লেজ বানিয়ে দেয়। একেই বলা হয়ে থাকে, ধূমকেতুর পুচ্ছ। সাধারণভাবে কোনও ধূমকেতুর দু’টি পুচ্ছ থাকে। একটি অপরটির উল্টো দিকে।

কুইপার বেল্ট হতে যে ধূমকেতুগুলি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে গিয়ে পৃথিবীর খুব কাছে এসে পড়ে, তারা সাধারণত ফিরে আসে ১০০ বছরের অনেক কম সময়ের মধ্যে। সুদূরতম ওরট্‌ ক্লাউড হতে আসে যে ধূমকেতুগুলি, তাদের আবার ফিরে আসতে লাগে ১০০ হতে ২০০ বছরেরও অনেক বেশি সময়।

গত জুলাইয়ে একটি ধূমকেতু ভারত-সহ গোটা বিশ্বেই দেখা যায়, যেটি ফিরে এসেছিল প্রায় ৭ হাজার বছর পর। সেটিও এসেছিল ওরট্‌ ক্লাউড হতেই।

অধ্যাপক সুনন্দ এবং অশোক দু’জনেই জানিয়েছেন, এই কিম্ভূত চেহারার মহাজাগতিক বস্তুটি পুরোপুরি ধূমকেতু হয়ে উঠবে আরও অন্তত ৪৩ বছর পর।

সুনন্দের ভাষায়, ‘গত বছরেই আমেরিকার ‘সেটি ইনস্টিটউট’-এর একদল গবেষক দেখিয়েছিলেন যে, বৃহস্পতির পর মহাকাশে একটা স্থান রয়েছে, যার নাম হলো ‘গেটওয়ে’। সেখানকার কাছেপিঠের ধূমকেতুদের আঁতুড়ঘর।’

অশোক ও সুনন্দ আরও জানিয়েছেন, হিসাব কষে দেখা গেছে যে, এই কিম্ভূত চেহারার মহাজাগতিক বস্তুটি গত দু’শো বছরে বহু বার তার কক্ষপথও বদলেছে। ১৮৫০ সালে সেটি ছিল শনি গ্রহের খুব কাছাকাছি। এটি বৃহস্পতির কাছে এসেছে মাত্র তিন বছর পূর্বে। ২০১৭ সালে। এটি পুরোপুরি ধূমকেতু হয়ে উঠে সূর্যের দিকে এগোতে শুরু করবে আজ হতে অন্তত ৪৩ বছর পর। ২০৬৩ সালে। তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

This post was last modified on আগস্ট ২৮, ২০২০ 11:37 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মুঠো মুঠো ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেলে কিডনিতে কী পাথর জমতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…

% দিন আগে

নতুন ইউনিকর্ন বাইক নিয়ে এলো হোন্ডা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…

% দিন আগে

২০২৫ সালেই মুক্তি পাবে সিয়াম অভিনীত ‘জংলি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…

% দিন আগে

বেলুনের ভিতর ঢুকে বিয়ের কনে: নিন্দার ঝড় নেটমাধ্যমে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…

% দিন আগে

খেজুরের রস ও শীত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…

% দিন আগে

প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে দুধ কখন ও কতোটা খেলে উপকার হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…

% দিন আগে