দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে পড়তির দিকে পরমাণু বিদ্যুতের জনপ্রিয়তা। এর অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। ভূমিকম্প ও সুনামীর কারণে জাপান পর্যায়ক্রমে গুটিয়ে নিচ্ছে তাদের পরমাণু প্রকল্পগুলো। তবে বাংলাদেশ নতুন করে ঢুকতে যাচ্ছে পরমাণু বিদ্যুতে। কোলকাতার এই সময়ের একটি পর্যবেক্ষণমূলক লেখা আজ তুলে ধরা হলো।
পরমাণু বিদ্যুৎ পরিবেশ-বান্ধব এটি ঠিক। তবে উৎপাদনের খরচ ও দীর্ঘ দিন টিকে থাকার নিরিখে টেনেটুনে পাশও করছে না নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরগুলি।
আপনি কী ডেভিড শুমাখারের নাম শুনেছেন? উঁহু, ইনি হলেন সেই এফ-ওয়ান নায়ক, বর্তমানে কোমায় শয্যাবন্দি মাইকেল শুমাখারের কেও নন। এই ভদ্রলোক ডকু-ছবি নির্মাণ করেন, তাঁরই একটি ডকু-ছবির কথা পাড়ার জন্যই গোড়াতেই তাঁর নামটি তুলে আনা হলো।
সেই ছবিটির নাম ‘দ্য নিউ ফায়ার’। যারা এটি দেখেছেন, তারা অবশ্যই জানেন। আর যারা দেখেননি, তাদের জন্য এটুকু বলাই যথেষ্ট হবে, ছবিটির পোস্টারে রয়েছে এমন একটি পরমাণু চুল্লি, পরিভাষায় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের ছবি যেটি আপাদমস্তক সবুজ লতা ও পাতায় মোড়া। অর্থাৎ ডেভিড শুমাখার বলতে চাইছেন যে, নয়া জমানার পরমাণু বিদ্যুৎই হলো এখন মুশকিল আসান। কারণ হলো, সেটিই দিতে পারে গ্রিন ও ক্লিন এনার্জি। অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব শক্তি।
বেশ এলেমদার একজন লোক ডেভিড শুমাখার। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বা ধরুন ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাকে দিয়ে ছবি করাচ্ছে। তিনি এই ছবিটিতে বলতে চেয়েছেন যে, পরমাণু বিদ্যুৎ পরিবেশের জন্য ক্ষতি করে, এই প্রচলিত ধারণা এবার অবশ্যই বদলে ফেলার সময় এসেছে। নতুন প্রজন্মের পরমাণু প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন যে, এই বিদ্যুৎ পরিবেশের পক্ষে কতোটা উপকারী।
এর কারণ হলো পরিবেশবান্ধব শক্তি যে আমাদের খুঁজতে হবে, সেই চাহিদাটাই খুবই যথাযথ। গোটা দুনিয়াই এখন এই পথ খুঁজছে! চিরাচরিত ফসিল ফুয়েল-এর ভাঁড়ার তো মোটেও অপরিমিত নয়। তা ছাড়াও সেই সব শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষণও ছড়াচ্ছে দেদারসে। আগামী দিনে বেঁচে থাকার বিদ্যুৎ তা হলে আসবে কোথায় থেকে?
বিকল্প পথ অনেকই রয়েছে। কেওবা বলছেন, হাতেগরম পারমাণবিক বিদ্যুৎই তো হাজির একবার একটা রিঅ্যাক্টর বানিয়ে নিলেই বেশ কয়েক দশক নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে ধরে রাখতে এর থেকে ‘কার্যকর’ বিকল্প আর মিলবে কোথায়?
তবে এই পর্যন্ত কোনও খটকা নেই বটে, তবে চ্যালেঞ্জটা আসছে এর ঠিক পরে। আমাদেরকে বাছতে হবে এমন একটা রাস্তা যেখানে উপজাত দ্রব্য হিসেবে ক্ষতিকারক গ্রিনহাউস গ্যাসও ছড়াবে না, অথচ খরচের দিক থেকেও সেটি সাশ্রয়ী হবে। একই সঙ্গে এই দু’টি শর্ত পালন করলেও অবশ্য আমাদের মোটেও স্বস্তি নেই। যে পথটি আসলে বেছে নেওয়া হবে, তাকে আবার একইভাবে কর্মক্ষমও থাকতে হবে বহু বছর ধরে। এতোসব বিধিনিষেধের মধ্যে লেটার মার্কস তো দূরের কথা, টেনেটুনে পাসও করতে পারছে না বিশ্বজুড়ে টিকে থাকা পরমাণু রিঅ্যাক্টরগুলি।
একেতো তাদের বয়েস হয়েছে, সেইসঙ্গে নতুন রি-অ্যাক্টর চালু করা বিপুল খরচেরও ব্যাপার। তার উপরে একটা রিঅ্যাক্টর বানাতে যতো অর্থ ও সময় লাগে, সে তুলনায় তার আয়ু ততোটা বেশি হয় না।
এবার খরচের বহরটা দেখা যাক। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন এজেন্সির হিসেব বলছে যে, বায়ুশক্তি হতে ১ মেগাওয়াট-হাওয়ার শক্তি উৎপাদনে যেখানে গড়ে ৩০ হতে ৪০ ডলার খরচ পড়ে, সেখানে সৌরশক্তির ক্ষেত্রে তার খরচ সামান্যই বেশি, অর্থাৎ ৫০ ডলার। তবে পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের ক্ষেত্রে খরচ পড়ছে অন্ততপক্ষে এর তিন গুণ, গড়ে ১৫১ (১১২-১৮৯) ডলারের মতো। সময়? বিশেষজ্ঞদের মত হলো, কোনও নতুন রিঅ্যাক্টরের ক্ষেত্রে, প্ল্যানিং-টু-অপারেশন (পিটিও) পিরিয়ড গড়ে ১৪ হতে ২০ বছর পর্যন্ত। এতো বিপুল সময় লেগে যায় বলে পরমাণু চুল্লি বানাতে যতোটা খরচ হবে বলে প্রাথমিক পরিকল্পনায় ভাবা হয়, বাস্তবে খরচ তার থেকে বহুগুণেই বেড়ে যায়!
যে কারণে ডেভিড শুমাখার এই যুক্তিটি মানুন বা না-ই মানুন, দুনিয়া জুড়েই কিন্তু পরমাণু রিঅ্যাকটরের জনপ্রিয়তা পড়তির দিকে সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। রুপোলি রেখা যে নেই তা অবশ্য নয়। কেও কেও বলবেন, এতে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস বেরোয় না। কেও আবার বলবেন, একেবারে যে বেরোয় না তা নয়, তবে খুব কম বেরোয়।
যাই হোক না কেনো, গ্রিনহাউস গ্যাস যদি স্বস্তির একটি দিক হয়, তাহলে অস্বস্তির দিকে কী কী রয়েছে, তার একটা হিসেব আগেই উপরে দেওয়াই হয়েছে। দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য করে নতুন কোনো রাস্তা বেছে নেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে, তা বড় বড় দেশের নীতিনির্ধারকরা এখন সেই গোলক ধাঁধাতেই ঘুরছেন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি হলো, নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রযুক্তিতে চলা পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর তৈরি না করে, আরও উন্নত প্রযুক্তির কোনো নিউক্লিয়ার ফিশন প্রযুক্তিতে চলা পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর বানানো যেতে পারে। যেখানে দূষণ খুব কম, তবে খরচ কিছুটা বেশি। ব্রিটেনে এই প্রযুক্তিতে চলা একাধিক রিঅ্যাক্টর আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে কাজও চালু করতে পারে।
নতুন সেই প্রযুক্তি খরচসাপেক্ষ হলেও তা পরিবেশ-বান্ধব, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সেখানে একেবারেই কম- এই যুক্তিতেই যে কোনও ভাবেই পরমাণু রিঅ্যাক্টরগুলি থেকে শক্তি উৎপাদন ভবিষ্যতে বিশ্বের পক্ষে একমাত্র সঠিক পথ- এমন দাবি করেছেন ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ফেইথ বিরল। এখন শ্যাম রাখি, না কূল রাখি, সেই দ্বিধাই ভুগছে পুরো বিশ্ব।
অনুবাদ: সুদীপ্ত তরফদার তথ্যসূত্র: এই সময়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০ 10:21 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…