দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উইন্ডোজ ১০ এর নতুন আপডেট যারা ব্যবহার করছেন তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধীরগতির সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন অথবা হচ্ছেন। তাই উইন্ডোজ ১০ আরও ফাস্ট করার উপায় জেনে নিন।
অনেকেই এই সমস্যা সমাধানে নতুন নতুন র্যাম কিংবা প্রোসেসরও কিনেছেন তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আবার অনেকেই না বুঝেই থার্ড পার্টি অর্থাৎ অন্য এক পাবলিশারের সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করছেন। তবে এগুলো না করেও কিভাবে বিনামূল্যে, সঠিকভাবে ও সম্পূর্ণ নিরাপদে এর গতি বাড়ানো যায সেটা নিয়ে আজ আলচনা শুরু করছি। নিম্নোক্ত ধাপগুলো মেনে চললে আপনার উইন্ডোজ এর গতি অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
পুরাতন ভার্সনের কারণেও উইন্ডোজ ধীরে চলার কারণ হতে পারে। তাই সবসময় ওয়িন্দওস্কে আপডেট রাখতে হবে। এর জন্য আপনাকে সবার আগেই সেটিংসে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে Update And Security অপশনে যান Windows Update মেনুতে গিয়ে Check for updates দিন। সেখান থেকে এবার আপডেট করুন।
এর জন্য আগে সেটিংসে চলে যান, তারপর সেখান থেকে সিস্টেম অপশনে চলে যান এবং বাম পাশের বিভিন্ন অপশন থেকে Power and Sleep অপশনটি আপনি বেছে নিন ও ডানে ছোট ছোট কিছু লেখা থাকবে সেখান থেকে Additional Power Setting নির্বাচন করতে হবে। আপনা আপনি উইন্ডোজ ১০ এখানে Balaced দিয়ে থাকে, আপনি নিচে Show Additionals Plans এ ক্লিক করে উপরে নিচে খুঁজে দেখে High performance এ ক্লিক করুন। এতে করে আপনার হার্ড ডিস্ক, র্যাম ও প্রোসেসরে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে এবং সাধারণ ভাবেই কম্পিউটারকে বেশি খাওয়ালে বেশি শক্তিও পাবে।
আপনি যখন আপনার কম্পিউটার চালু করেন, ঠিক তখন থেকেই কিছু অ্যাপ্লিকেশান আপনার সিস্টেমে চলতে থাকে যেটি আপনি দেখতেও পান না। তবে এটি চাইলেই বন্ধ করা সম্ভব। সেজন্য আপনাকে সবার আগে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিকিউরিটি অপশনে আপনাকে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পাবেন যে হাতের বামে একটু নিচে স্ক্রল করলেই Background Apps নামে একটি অপশন রয়েছে সেটিতে Alarms and Clock, Mail বাদে আপনি যেসব অ্যাপ্লিকেশানকে সবসময় পেছনে চালাতে চান না সেগুলো অবশ্যই বন্ধ করে দিন।
স্টার্টআপ অ্যাপ্লিকেশান হলো ওই সব অ্যাপ্লিকেশান যেগুলো আপনার কম্পিউটার চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়। যেমন: অভ্র বা বিজয়। তবে অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনও এর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হতে পারে। এটি দেখার জন্য আপনার টাস্কবারের যেকোনো খালি যায়গায় মাউসের রাইট ক্লিক করে সেখান থেকে টাস্ক ম্যানেজার অপশনে গিয়ে ক্লিক করুন। এবার যদি একসঙ্গে অনেক অ্যাপ্লিকেশান কিংবা হিজিবিজি লেখা দেখা না যায় তাহলে দেখবেন নিচে More Options কিংবা এরকম জাতীয় কিছু থাকতে পারে সেখানে আপনি ক্লিক করুন এবং তারপর উপরে লেখা থাকবে যেমন Processes, Performance, Startup সহ আরও অনেক কিছু। আপনি স্টার্টআপে ক্লিক করুন ও যেসব অ্যাপ্লিকেশানকে চান না যে সেগুলো আপনার কম্পিউটার চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওন না হোক সেগুলো ক্লিক করে নিচে Disable লেখা থাকলে সেখানে আপনি ক্লিক করে বন্ধ করে দিন।
অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া অনেক সময় অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন রাখে যেমন একাধিক মিডিয়া প্লেয়ার কিংবা একাধিক ইন্টারনেট ব্রাউজার যার সত্যিকার অর্থে তেমন কোনো দরকারই হয় না। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত সব অ্যাপ্লিকেশনকে কন্ট্রোল প্যানেল হতে Uninstall করে দিন। এতে করে আপনার সিস্টেম একটু হলেও ফাঁকা হবে ও আগের চাইতেও দ্রুত চলবে।
সবার আগে নিজের হার্ড ডিস্কের প্রতিটি ফাইল নিজেই দেখুন যে সেটার কোনো প্রয়োজন রয়েছে কি না। যদি না থাকে তাহলে তা মুছে ফেলুন। তবে সাবধান থাকবেন যাতে কোনোভাবেই সি ড্রাইভ কিংবা যেখানে আপনার অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে সেখান থেকে দূরে থাকা যায়। এবার স্টার্ট মেনুতে গিয়ে লিখুন Disk Cleanup এটা দিয়ে আপনার সব হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ স্ক্যান করুন ও ক্লিন করুন। এতে করে অপারেটিং সিস্টেম বেশ দ্রুত চলবে।
দেখা যায় অনেক সময় ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আপনার সিস্টেমের গতি কমিয়ে দিতে পারে। সে জন্য Microsoft Defender কিংবা Windows Defender চালু করে সেটাকে আপডেট করে একবার ফুললি স্ক্যান করুন ও প্রতিবার বন্ধের সময় কুইক স্ক্যান করে নিন। যদি আপনার পিসি সবসময় ভাইরাস মুক্ত রাখতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু সচেতনতা মেনে চলুন এবং সপ্তাহে অন্তত একবার ফুল স্ক্যান করুন ও যেকোনো স্ক্যান করার আগে অবশ্যই আপডেট করে নিন। কারণ দৈনিক নতুন নতুন ভাইরাস ও ম্যলওয়্যার তৈরি হয়ে থাকে। তথ্যসূত্র: bangladeshtoday.ne
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০ 12:35 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…