চীনের আরেক ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চীনের উত্তর পূর্ব শহরে গত বছর বায়োক্যামিকেল ফ্যাক্টরি হতে ছড়িয়ে পড়া এক ভাইরাসে অন্তত ১ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ‘ব্রুসেল’ নামে একটি ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবেই মানুষের শরীরে এক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৩,২৪৫ জন। তবে বর্তমানে চীনের গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউ-এ সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬২০।

জানা যায় যে, এই ব্যাকটিরিয়াগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ায় ও এটি সেই কারণেই যখন বাইরে বেরিয়ে পড়েছিল, তখন সেটি বাতাসের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্ব দিকেই ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে হাজার হাজার মানুষের শরীরে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। চাষের কাজে ব্যবহার করা তরলেও এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে। যা থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই রোগটিও করোনার মতোই মানুষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়াতে পারে স্পর্শের মাধ্যমে।

এই রোগের অন্যতম উপসর্গই হলো, জ্বর, মাথা ব্যথা। এগুলো পুরুষ এবং নারীর স্পর্শকাতর অঙ্গেও ক্ষতি সাধান করে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে এই রোগে মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত।

এই বিষয়ে ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধকারী সেন্টারের পক্ষ হতে বলা হয়, সঠিক সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক দিলে এই রোগ হতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও যে পশুরা এই রোগে আক্রান্ত হয়, তাদের মেরে ফেলতে হবে। আক্রান্ত পশুর দুধ খেলেও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে জানানো হয়।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।