জানা অজানা

সাপ সম্পর্কে আপনি যা কখনও জানেন না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপকে আমরা ভয়াল বা ভয়ংকর একটি জীব হিসেবেই চিনি। তবে এই সাপ সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা রয়েছে।

আমরা সাপ মানেই কি বুঝি বিষাক্ত কোনো কিছু? সাপ মানেই কী ভয়ঙ্কর কোনো কিছু? তবে এই সাপ সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলো ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। আমাদের থেকেও সাপ অনেক শান্ত এবং বলা যায় ভিতু। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সাপ মোটেও কোনো ক্ষতিকর জীব নয়।

 

Related Post

বীণ শুনে সাপ

বীণ শুনে সাপে নাকি নাচে। এটি একেবারে ভুল কথা। জেনে নিন সাপের কোনো কান নেই। এমনকী দৃষ্টিশক্তিও অতো প্রখর নয়। কেবল যারা বীণ বাজান, তারাই সেটি সাপের মুখে সামনে দোলাতে থাকেন। সাপও চোখের সামনে দুলুনি দেখে তখন মাথা দোলাতে থাকে এই ভেবে যে, কোনও শত্রু এলো বোধহয়।

দাঁড়াশ সাপ

দাঁড়াশ সাপের রয়েছে লেজে বিষ। দাঁড়াশ আসরে নির্বিষ সাপ। লেজ তো দূরের কথা, এর কোনে বিষদাঁতই নেই। মূলত ইঁদুর ও ছোট পাখি ধরে খায় এরা। তার থেকেও বড় কথা হলো, ছোটখাটো বিষাক্ত সাপ এরা খেয়ে নিতে পারে।

সাপে দুধ খায়?

সাপে দুধ খায় এটিও সর্বনেশে একটি ধারণা। মনে রাখবেন, সাপ আসলে শীতল রক্তের প্রাণী, মাংসাশী, ও স্তন্যপায়ী নয়। যে কারণে সাপের পক্ষে দুধ হজম করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। দুধ সাপের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকরও। এতে করে সাপ মারাও যেতে পারে। যে সব সাপকে দুধ খেতে দেখে থাকেন, তারা মূলত খেলা দেখানো সাপুড়েদের সাপ। নাগপঞ্চমীর আগে সাপগুলোকে নাগাড়ে মাসখানেক প্রায় পানি না খাইয়ে রাখা হয়। তারপর এদের মুখের সামনে দুধ ধরা হয়। বাধ্য হয়েই সাপেরা তখন সেই দুধ খেয়ে ফেলে।

সাপ কী কখনও বিষ ছুড়ে মারে?

সাপ বিষ ছুড়ে মারে- এই জিনিসটি সব সময় না হলেও মাঝে-মধ্যে ঘটে। আফ্রিকা ও দক্ষিণ এবং উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে এই স্পিটিং কোবরা পাওয়া যায়। যে কোবরা গুলো অনেক দূর থেকেও বিষ ছুঁড়ে মারে।

সাপ কী কখনও মানুষকে তাড়া করে?

সাপ মানুষকে তাড়া করে এই ধারণা রয়েছে আমাদের মধ্যে অনেকের। তবে আজ মনে রাখুন, সাপ মানুষের শত্রু নয়। বরং উল্টোটাই হলো সত্যি। সাপের সামনে পড়ে গেলে যদি আপনি দৌড়ে পালাতে যান বা বেশি লাফালাফি করে ফেলেন, তাহলে সাপ আত্মরক্ষার্থে আপনার দিকে তেড়ে আসতে পারে। এমন ঘটনা ঘটলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকুন। দেখবেন যে, সাপ আপনাকে পাশ কাটিয়ে অথবা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে।

সাপ কী কখনও তার শত্রুকে চিনে রাখে?

সাপ তার শত্রুকে চিনে রাখে— এই কথাটিও সত্যি হতে পারে তবে তা হতে হবে কোনো সস্তার সিনেমা কিংবা অতি খাস্তা বাংলা-হিন্দি সিরিয়ালে। সাপের স্মৃতিশক্তি কিংবা বুদ্ধি কোনোটিই নেই। তারা শুধু এটুকুই জানে, বাঁচতে গেলেই খেতে হয়, আর খেতে গেলে হত্যাও করতে হয়। তবে নিজের শক্তি সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে। নিজের আকার সম্পর্কে সাপ সব সময়ই ওয়াকিবহাল। তাদের মধ্যে রয়েছে যৌনতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তিও।

সাপ বুড়ো হলে কী গোঁফ-দাড়ি গজায়?

সাপ বুড়ো হলে গোঁফ-দাড়ি গজায়- তথ্যটি মোটেও সঠিক নয়। কারণ সাপের গায়ে লোম আসবে কোত্থেকে? এই বিষয়ে এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না।

সাপে সাপে কী কখনও শঙ্খ লাগে?

সাপে সাপে শঙ্খ লাগে। শঙ্খ লাগা বস্তুটি আসলে কী? কেও কেও বলেন সাপের খেলা, কেওবা বলেন বৃষ্টি নামবে, কেও আবার বলেন ঈশ্বরের মায়া। ‘মায়া’ই বটে। কারণ যেটাকে সাপের শঙ্খ লাগা ভেবে কপালে হাত উঠিয়ে থাকে, আসলে সেটি সাপের যৌনসঙ্গম। তাই একেই আমরা ভাবি সাপে সাপে শঙ্খ লাগে।

তাই সাপ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়, সাপ দেখেই আপনার ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ আপনি যদি সাপকে আঘাত না করেন তাহলে সেও আপনাকে কামড়াবে না। আপনি সাপ দেখলে যদি চুপচাপ পাশদিয়ে হেটে চলে যান সে আপনাকে কিছুই বলবে না। তবে আপনি যদি তার খুব নিকটবর্তী হয়ে যান তাহলে সে নিজের নিরাপত্তা অর্থাৎ আপনাকে শত্রু ভেবে আক্রমণ করতেই পারে। তাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলে সাপের কোনো ক্ষতি না করলে সেও আপনার কোনো ক্ষতি করবে না।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।

This post was last modified on জানুয়ারী ১৮, ২০২১ 3:15 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্তর্ভূক্তিমূলক থিয়েটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিল্পীদের নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার…

% দিন আগে

বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাকিব খান!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে…

% দিন আগে

৬ মাসে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় নিহত ১৩ হাজার শিশু

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় গত ৬ মাসে নিহত শিশুদের সংখ্যা আঁতকে উঠার…

% দিন আগে

আপনার চরিত্র কেমন তা আপনার আঙুলের আকৃতিই বলে দেবে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…

% দিন আগে

সিলেটের মালিনিছড়া চা বাগানের দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়া কী আদৌ শরীরের জন্য ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…

% দিন আগে