১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক বিড়ম্বনার একটি পরিচিত ধরণই হলো ফেক কিংবা নকল আইডি। গত বছরের অক্টোবর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে মোট ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব কিংবা যে কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন যারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়ে দিয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত অসংখ্য ভুয়া তথ্য এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে ফেসবুকের মতো প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলো কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সেই বিষয়ে সম্প্রতি তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি সংসদীয় কমিটি।

উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে ফেসবুক। এই ফেসবুক আসার পর মানুষ ঘরে বসে নানা খবরা খবর রাখতে পারছেন। তবে এর একটি খারাপ দিক হলো এটি যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে অনেকেই এর অপব্যবহারও করছেন। তাই এই অপব্যবহার রোধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।