দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের ‘রহস্যময়’ ধোঁয়া শনাক্ত করেছে আন্তর্জাতিক একাধিক গবেষণা সংস্থা।
মিথেন গ্যাস হলো একটি গ্রিনহাউস গ্যাস, যা কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা এক শতাব্দী কালব্যাপী ৩০ গুণ বেশি ধরে রাখতে সক্ষম।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক ও ডেটাসেবা প্রদানকারী ও মিডিয়া কোম্পানি ব্লুমবার্গ তাদের একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে শনাক্ত এই গ্যাসকে ‘রহস্যময়’ বলেই উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্রান্সের কোম্পানী কায়রোস এএএস চলতি বছর বাংলাদেশের উপর ১২টি সর্বোচ্চ মিথেন গ্যাস নিঃসরণের হার শনাক্ত করেছে।
জিএইচসিএসএটি নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন জার্মেইন জানিয়েছেন যে, তারাও বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের ধোঁয়া শনাক্ত করেছেন। স্টিফেন জার্মেইন বলেছেন, এটি হলো আমাদের দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী টেকসই নির্গমন। তবে এই গ্যাসের উৎস সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুফিল্ড টেকনোলজিসও বাংলাদেশের উপরে এই মিথেন গ্যাস শনাক্ত করেছে।
কোম্পানীটির প্রতিষ্ঠাতা যোতম এরিয়েল এই বিষয়ে বলেছেন, আমাদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণকারী দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এটি দেখা গেছে। বাংলাদেশের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন। মন্ত্রী বলেছেন, এটি সম্ভবত ধান ক্ষেত হতে আসছে। কৃষকরা যখন তাদের ক্ষেত সেচের পর ভাসিয়ে দেন, ঠিক তখন জলাবদ্ধ মাটির ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস তৈরি করতে পারে। আরেকটা উৎস হলো ল্যান্ডফিল গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এই ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাসের ছড়িয়ে পড়ার হার যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা না যায়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে যেসব লড়াই বা সংগ্রাম চলছে, তাতে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on এপ্রিল ১৮, ২০২১ 12:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় গত ৬ মাসে নিহত শিশুদের সংখ্যা আঁতকে উঠার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম তা বলে দিতে পারে আপনার আঙুলের আকৃতি!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…