দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি এসে যায় মানুষের আচার-ব্যবহারের কারণে। এক এক জনের দৃষ্টিভঙ্গি এক এক রকম হয়ে থাকে। তবে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কী? বা দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত সেই বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।
মানুষের জীবনে কঠোর পরিশ্রমই উত্তম পুরস্কার বয়ে আনে। সৃষ্টিকর্তা যখন কারও মঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে পরীক্ষায় ফেলেন। যে ব্যক্তি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন, সৃষ্টিকর্তা তার প্রতি সন্তুষ্ট হন, তখন সে বিজয়ী হন। যে বিরক্তি এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, সৃষ্টিকর্তা তার ওপর অসন্তুষ্ট হন, তখন সে ব্যর্থ হন। এই বক্তব্যগুলো হাদীস বর্ণকারী: আনাস ইবনে মালেক (রা); গ্রন্থনা: তিরমিজী, ইবনে মাজাহ’র।
এর অর্থ দাঁড়ালো জীবনে ব্যর্থতার বড় কারণ হলো সমস্যা এলে বিরক্ত হওয়া এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা। কারণ এগুলো মানুষকে সমস্যার ভেতর হতে নতুনভাবে সুযোগ বের করে আনার বদলে তাকে হতাশায় নিমজ্জিত করে ফেলে। হতাশা কিংবা বিরক্তি নয় ভালো কাজে লেগে থাকাই আসলে বুদ্ধিমান ব্যক্তির কাজ। ভালো কাজ শুধু নিজের জন্য নয়, বরং অন্যের জন্য ভালো কাজই হলো প্রকৃত ভালো কাজ। যার প্রতিদান স্রষ্টা নিজেই দিবেন। নিশ্চয় মহামারীর এই সময় একদিন শেষ হয়ে যাবে। তাই এ সময় ধৈর্য্য ধারণ করা স্বাস্থ্যবিধি মানা ও অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসা সকলের একান্ত কর্তব্য।
তাই সমস্যা, বিপদ-আপদকে ইতিবাচকভাবে, স্রষ্টার পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে সকলকেই। ‘যদি এটা না করতাম তাহলে এই বিপদ হতো না’ এই ধরনের কথা বলা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ হলো এটা আপনাকে অতীতেই নিমজ্জিত করে রাখবে। তবে আপনি কখনই আর অতীতে ফিরে যেতে পারবেন না।
সে কারণে যা ক্ষতি হয়ে গেছে তার জন্যে আফসোস না করে ক্ষতিপূরণের জন্যে দরকারি কাজের পেছনেই সময় দিতে হবে। এটিই হলো সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। যে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে, আল্লাহ তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতিও বদলে দেবেন। হাদীস বর্ণনাকারী : আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); গ্রন্থনা: হাকেম হতে প্রাপ্ত।
কাজেই বলা যায়, দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই বদলে যাবে জীবন। বিপদে সবসময় সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ করতে হবে; বিপদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুযোগকে বের করে আনতে হবে এবং মস্তিষ্ককে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে। জীবনের সব ভালো কাজই সবচেয়ে ভালোভাবে করতে হবে। ভালো কাজে ডুবে থাকলে স্রষ্টা নিশ্চয়ই একদিন সুফল দেবেনই। তাহলেই স্রষ্টার কাছ থেকে প্রত্যাশামাফিক পুরস্কার মিলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on মে ২২, ২০২১ 2:40 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…