দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লকডাউনের এই সময় অনেককেই ঘরে থাকতে হচ্ছে। যে কারণে অনেক বিষয় নিয়ে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদে জড়াতে পারেন। তবে এই সময় ঝগড়া-বিবাদ নয়, বরং লকডাউনে জীবনসঙ্গীর প্রশংসা করুন।
বাড়ি থেকে অফিসের কাজ, তারপর আবার ঘরের দৈনন্দিন কাজকর্মে হাঁপিয়ে উঠেছেন অনেকেই। সাংসারিক দায়দায়িত্ব এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়নে ঝগড়া-বিবাদ তৈরি হচ্ছে অনেক দাম্পত্য জীবনে। তবে এই সময় ঝগড়া-বিবাদ নয়, বরং লকডাউনে জীবনসঙ্গীর প্রশংসা করুন।
একে অপরকে দোষারোপ নয়
লকডাউনের কঠিন সময়টিতে যেখানে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে, হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করা দরকার সেখানে পরস্পরকে দোষারোপ করা মোটেও ঠিক নয়। কারণে-অকারণে মতের অমিল, ঝগড়া-বিবাদ, পরস্পরের ব্যক্তিত্বের সংঘাতে সংসারকে আরও রণক্ষেত্র করে তোলার মধ্যে কোনো স্বার্থকতাই নেই। করোনোকালে লকডাউনের সময়টিতে এই সব ঘটনায় বেশি হচ্ছে।
বাড়ির কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করুন
সংসার সামলানোর অভ্যাস এতোদিন অনেকের ছিল না। লকডাউন সেই অভ্যাসটাই রাতারাতিই পাল্টে দিয়েছে। বাড়ির কাজের ভাগাভাগি নিয়ে কখনও মনোমালিন্য তৈরি করবেন না। এমন হতেই পারে, আপনি হয়তো কোনোদিন রান্নাঘরে ঢোকেননি। তবে এখন যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বাড়ির বাকিদের সাহায্য করার জন্য মাঝেমধ্যে রান্নায় সহযোগিতা করতেই পারেন। বাজার করা, রান্না করা, ঘরদোর পরিষ্কার করা বা কাপড় কাচা, বাসন মাজা-সবগুলো কাজই বেশ পরিশ্রমসাধ্য। স্বামী-স্ত্রী নিজেদের কাজের সমান ভাগ করে নিতে হবে। প্রয়োজনে একে অপরকে সাহায্য করবেন ও কাজের প্রশংসাও করবেন মনখুলে।
দুজনই দুজনকে সাহস দিন
করোনার এই সময় একে অপরের কাজের খুঁত না ধরে বরং কাজটি করার চেষ্টাটাকে প্রসংশার দৃষ্টিতে দেখুন। স্বামী বা স্ত্রী- যে কেও যদি অফিসের কাজে একটু বেশিই ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলেও অযথা রাগ দেখাবেন না। বরং তার কাজের দায়িত্বটুকু সাময়িকভাবে আপনিই সামলে নিতে পারেন। করোনাকালের লকডাউন পরিস্থিতি সাময়িক, কিছুটা সময় দিলেই আমরা হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো। চাকরির নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য, সুস্থ থাকার চেষ্টা- এই সবকিছুই প্রতিদিনের চিন্তার অংশ এখন সবার জন্য। এই সময়ে প্রয়োজন কাছের মানুষের সাহচর্য, প্রয়োজন একে অপরকে সাহস দেওয়া। তাই চলমান পরিস্থিতিতে বেসামাল হয়ে ঝগড়া করলে কোনো সমাধানই হবে না, বরং অশান্তি সৃষ্টি হবে।
ভালো থাকার মূল মন্ত্র
আমরা মাঝে-মধ্যেই শুনতে পায়, লকডাউনে চার দেওয়ালের মাঝে থাকতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন স্বামী-স্ত্রী! যে কারণে বাড়ছে মনোমালিন্য, বাড়ছে মানসিক দূরত্বও। তবে এই কঠিন সময় পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই তো চাইলেও কেও নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জীবনের অনেক ঝামেলার, অনেক দুশ্চিন্তার সমাপ্তিও ঘটাতে পারে একে অপরের সান্নিধ্য বা একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে। সে কারণে লকডাউনের এই সময়টিতে একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব নয়, বরং কঠিন সময় একে অপরের পরিপূরক হয়ে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে ভালো থাকার মূল মন্ত্র। তথ্যসূত্র: https://www.ittefaq.com.bd
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুলাই ৫, ২০২১ 4:53 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২৫ অক্টোবর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স (কেআইবিসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ মিলন। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) আরও ৩ জন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একে অপরের দিকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১২ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি প্রশ্ন হলো আপনি কী নিয়মিত অমলেট খান? তবে আপনি…