চুল সুন্দর রাখতে কয়েকটি টিপস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চুল সুন্দর রাখতে হলে চুলের যত্ন না নিলে চলে না। তা নাহলে সেটি হয়ে যায় রুক্ষ ও বিবর্ণ। আজ জেনে নিন চুল সুন্দর রাখতে কয়েকটি টিপস।

সারাবছর অনেকেরই লেগে থাকতে হয় চুলের সমস্যা দূর করতে।তবে একটু সচেতন থাকলে ও কিছু টিপস মাথায় রাখলে আপনার চুল নিয়মিতই থাকবে সুন্দর ও নজরকাড়া।

লাইফস্টাইল বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন ফেমিনা ইন্ডিয়া অবলম্বনে সুন্দর চুলের জন্য জেনে নিন ৭টি টিপস।

আজ জেনে নিন যে কাজগুলো করতে হবে চুল সুন্দর রাখাার জন্য:

চুল কাটুন নিয়মিতভাবে: চুল ভালো রাখতে নিয়মিত চুলের আগা কাটতে হবে। এতে চুলের শেইপ সুন্দর থাকবে, আগা ফেটে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও কমে যাবে। তিন মাস অন্তত একবার চুল কাটিয়ে নিন, তাতে চুলের স্বাস্থ্য বেশ ভালো থাকবে।

ডিপ কন্ডিশনিং করুন: মাসে অন্তত একবার হলেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুল ডিপ কন্ডিশনিং করা প্রয়োজন। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল কিংবা সরিষার তেল চুলের পক্ষে খুবই ভালো কন্ডিশনার। বড় দুই/তিন চামচ তেল গরম করে তারপর হালকা ঠাণ্ডা করে নিন। ঈষদুষ্ণ থাকতে থাকতেই তেলটা চুলের গোড়ায় ও গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তারপর শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

সঠিক পদ্ধতিতে চুল আঁচড়ান: একেবারে জবজবে ভেজা চুল আঁচড়াতে যাবেন না, চুল ভেঙে যেতে বাধ্য। যতোটা সম্ভব চুল হতে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা কাটার চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিতে হবে। চুল নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে উপর দিকে উঠুন।

প্রি-কন্ডিশনিং করা: শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনিংয়ের কথা অনেকেই জানেন। তবে ইদানিং কন্ডিশনিংকে সরিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে প্রি-কন্ডিশনিং। অর্থাৎ শ্যাম্পু করার পূর্বেই কন্ডিশনার লাগানোর পদ্ধতি। যাদের চুল কোঁকড়া ও রুক্ষ, তারা প্রি-কন্ডিশনিং করলে বেশ ভালো ফল পাবেন।

অতিরিক্ত শ্যাম্পু করবেন না: প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপর স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তখন চুল হয়ে যায় রুক্ষ। তাই সপ্তাহে দুই তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না।

ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন: নারিকেল তেল, কলা, মেয়নিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন রকমারি হেয়ার মাস্ক। এতে চুলের গোঁড়ার পুষ্টিও যোগাবে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।