একই তেলে বারবার রান্না করা ক্ষতিকর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় হোটেলগুলোতে পুরি-সিঙ্গারা ভাজার পর থেকে যাওয়া তেলে আবারও তরকারি রান্না বা অন্য কিছু ভাজা হয়। এটি মোটেও ঠিক নয়।

আধুনিক এই সময় শুধু হোটেলই নয়, অধিকাংশ বাসা-বাড়িই এমনটা করা হয়। বাইরের বেশ কিছু দোকানেও ঠিক এভাবেই তৈরি করা হয় মুখরোচক খাবার। একই তেলে বারবার খাবার রান্না করে খেলে তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এবার তাহলে একই তেলে বারবার রান্নার বিষয়ে জেনে নেওয়া দরকার।

এই বিষয়ে এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি বিষয়। বারবার একই তেল গরম করার কারণে তাতে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়ে থাকে। যে কারণে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ থেকে শরীরে কঠিন অসুখও দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো তেল ৩ বারের বেশি গরম করা মোটেও ঠিক নয়। এমনটা করা হলে ট্রান্স-ফ্যাট তৈরির সম্ভাবনাও থাকে। একই তেল বারবার গরম করার কারণে বিদ্যমান ফ্যাটের কণা ভেঙে যেতে পারে। এ থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হয়। পদার্থগুলো শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিও করতে পারে। বারবার ফোটানো তেল ব্যবহার করার কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেইসঙ্গে রক্তচাপের পরিমাণও বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।