দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিবারে কন্যা সন্তানকে যোগ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব মূলত বাবা-মায়ের উপরেই বর্তায়। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও প্রয়োজন কিছু পদক্ষেপের। আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
সন্তানকে পরিবার ও সমাজের একজন যথাযোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বর্তায় বাবা-মায়ের উপর। বিশেষ করে কন্যাশিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পদক্ষেপ পরিবারের সদস্যদেরকে নিতে হবে।
বর্তমান এই আধুনিক যুগেও অনেক পরিবারে ছেলে এবং মেয়ের বিভেদও দেখা যায়। খাবার থেকে শুরু করে চলাফেরা এমনকি খেলাধুলাতেও ছেলে-মেয়ের বিভেদ শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিষয়টি আসলে এমন- একটি মেয়ে কেনো শুধু পুতুল কিংবা বাসনপত্র নিয়ে খেলবে? আবার ছেলেরাই বা কেনো শুধু গাড়ি নিয়ে খেলবে? এসব ধারণা ছেলে-মেয়ারা তাদের পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে।
কন্যা সন্তানকে যদি আত্মবিশ্বাসী এবং স্বাবলম্বী হিসেবে ভবিষ্যতে দেখতে চান তাহলে প্রথম থেকেই তার বিকাশের বিষয়ে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন :
# শিশুকাল থেকেই কন্যা সন্তানকে সাইকেল চালানো শেখানো, ছবি আঁকা, নাচ-গান ইত্যাদি শেখানো যেতে পারে। এইসব শিখালে শিশুর নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।
# আপনি কখনও মেয়েকে বলবেন না যে, ঘরের কাজেও তাকে বাড়তি মনযোগ দিতে হবে। ঘরের কাজের গণ্ডি ছাড়িয়ে বড় স্বপ্ন দেখাতে শেখাতে হবে।
# একটি স্বাভাবিক নিয়ম হলো শিশুরা দুষ্টুমি করবেই। আর ঠিক এভাবেই খেলার ছলে মেয়ের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে। কখনও ভুলেও তাদের গায়ে হাত তুলবেন না।
# সমাজে কন্যাশিশুকে নিয়ে অনেক কুসংস্কার এবং ট্যাবু রয়েছে। ‘মেয়েদেরকে এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত নয়’ ইত্যাদির প্রভাব যেনো ছোটবেলাতেই শিশুর উপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মনে করতে হবে আপনিই তার ‘সমাজ’।
# শিশুর সামনে কখনও অন্যদের শারীরিক গড়ন বা ত্বকের রং নিয়ে কখনও উপহাস করবেন না। কারণ এর প্রভাব পড়বে শিশুর মননে।
# বাইরের কারও সামনে কখনও শিশুকে নাচতে বা গাইতে বলে বিব্রত করবেন না। এতে করে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। মনে রাখবেন সবাইকে বিনোদিত করা আপনার কন্যার কাজ নয়।
# ধীরে ধীরে শিশুকে ভালো-মন্দ, বিপজ্জনক কাজ, নিরাপদ থাকার নানা কৌশল- এইসব বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। এতে করে শিশুরা নিরাপদে থাকতে পারবে।
# বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তার মতামত নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে শিশুর কথা বলার আগ্রহ আরও বাড়বে। সে আরও পারদর্শী হয়ে উঠবে। তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on নভেম্বর ২৩, ২০২১ 2:14 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান।…