দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছর শেষে অতিমারির আচমকা আক্রমণ আমাদের সব পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারে। তাই বাড়তে পারে হৃদরোগের আশঙ্কাও।
এই ঠাণ্ডা আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর, বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আরও বেশি সমস্যা। চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন যে, তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে এক ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়তে শুরু করে। শীতকালে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীগুলি কিছুটা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এটি হার্টে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ আরও হ্রাস করে, যা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে অল্প কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন এই ঝুঁকি।
# এই সময় তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ‘হাইপোথার্মিয়া’ও সৃষ্টি হতে পারে, যা হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি নতুন ব্যায়ামের রুটিন শুরু করা দরকার।
# আপনার শরীর উষ্ণ রাখা এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তবুও শরীরে অতিরিক্ত গরম করা উচিত নয়। যে কারণে রক্তনালী প্রসারিতও হতে পারে, বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের নিম্ন রক্তচাপও তৈরি হতে পারে। যখন রক্তচাপ কমে যায়, তখন হার্টের রক্ত সরবরাহও কমতে পারে। বিধায়, আপনি যদি ঘামছেন বলে মনে করেন, তাহলে চটপট পরে থাকা শীতবস্ত্রগুলো খুলে ফেলুন।
# বর্ষবরণের আনন্দে মাতলেও অ্যালকোহল, নিকোটিন ও ক্যাফেন এড়িয়ে চলতে হবে অবশ্যই। এগুলি রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করতে পারে এবং যা হার্টের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
# হার্ট অ্যাটাকের সতর্কীকরণ লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদ্স্পন্দন, বুকে অস্বস্তি কিংবা বেদনাদায়ক অনুভূতি, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, ঘাম ইত্যাদি। বছর শেষে এমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে শরণাপন্ন হোন চিকিৎসকের।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জানুয়ারী ১০, ২০২২ 4:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের আইফোনের ব্যাটারি হেলথ নিয়ে যদি কৌতূহলী হয়ে থাকেন কিংবা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কোলকাতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৭ মাসের যুদ্ধের পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের আগ্রার সেগানা গ্রামের একটি প্রাক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেরি করে স্কুলে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুগ যুগ ধরে সব মহিলার ক্ষেত্রেই তো একই রকম ঘটনা…