পা হারানো এক ফিলিস্তিনি মুসলিম যুবকের নববর্ষ উদযাপন

গাজা সমুদ্র উপকূলে ঠিক এভাবেই নববর্ষ ২০২২ উদযাপন করেছেন ইসরাইলী হামলায় পা হারানো এক ফিলিস্তিনি মুসলিম যুবক মুহাম্মাদ তাউতাহ।

যার স্বপ্ন যেমন‚ যার চিন্তার মেরু যেমন; তার কথায় কাজে কর্মে সব জায়গাতে তার বাস্তবতা ফুটে ওঠে। এবার আপনি বাংলাদেশেও ইংরেজি ২০২২ সালের শুভযাত্রা দেখলেন‚ আবার সমুদ্রের পাড়ের ছবিটিতে ফিলিস্তিনের এই ভাইটিকেও দেখলেন। তালে-মাতাল বাঙ্গালী আর মালয়েশিয়ার সচেতন নাগরীকদেরকেও দেখলেন; বাঙ্গালিরা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গোলা বারুদ আর ফানুশ উড়িয়ে হাজারও ঘরে আগুন জালিয়ে দিল, ঠিক একই সময় মালাইরা থার্টি-ফাস্ট নাইটের এই রাতে মসজিদে মসজিদে নামাজ, কুরআন তেলওয়াত আর দুআর মাধ্যমে অতীতের অবহেলায় চলে যাওয়া দিন গুলির জন্য অনুতপ্ত হল৷ সোনার ছেলেরা দেশে আগুন ধরিয়ে বিশৃংখলা দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে যার নাম দিল থার্টি ফাস্ট নাইট আর মালাইরা সুশৃঙ্খল ভাবে মসজিদে গিয়ে দুআ করে দেশের ভাগ্য পরিবর্তনের শপথ নিল৷ এটাই হলো বাংলার সোনার ছেলেদের গুণকীর্তন৷

আলেম উলামাগণ কতোবার নিষেধ করল কিন্তু কোনো মিডিয়া এই গঠণমূলক রাজ্য শোধন সূলভ আলোচনা গুলো ভাইরাল করল না, যখন সত্য নিষ্ঠ আলেম উলামাদের কথা না শোনার কারণে নিয়ন্ত্রণহীন যুবক বালকেরা বেহুদা অহেতুক ফাহেসাহ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তেই, যেই দেশে আগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো বিরাট এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলো, যখন সর্বস্তরে আগুনের লেলিহান দেখা দিলো, ঠিক তখনই মিডিয়ায় প্রচার করে বলা হল! বাপরে বাপ! বস্তুতঃ আমি সব মিডিয়াকে রেস্পেক্ট করেই কথাগুলো বলছি অনেক দুঃখ বেদনা ও দেশপ্রেম থেকেই৷ এই জন্য আমাদের করণীয় হবে; দেশ ও দশের জন্য মঙ্গলময় ভবিষ্যৎ সঠিক কর্মপন্থা কেউ দিলে সেটাও গ্রহণ করতে স্বতঃস্ফূর্ত হতে হবে৷

আরবিতে একটি প্রসিদ্ধ কথা আছে- (كما تدين تدان) অর্থাৎ যেমন ‘কর্ম তেমন ফল’ আর এ ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহ পাক বলেনঃ
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُمْ بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ.
সুরা রুম আয়াত-৪১ অর্থ : স্থলে ও জলে যেই বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, তা মুলত মানুষের নিজ হাতের কামাই। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি দুনিয়াতেই আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।

বিজাতীয় সাদৃশ্য: থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন সম্পূর্ণরূপে বিজাতীয় সংস্কৃতি। এ রাত্রে বলে ও ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো, আতশবাজি, পটকাবাজি, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটো বা উল্কা অংকন, ডিজে পার্টি ও কনসার্ট, নেশা সেবনসহ বিজাতীয় সংস্কৃতির সাথে সাদৃশ্য রাখে। ইসলাম এটি কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ-৩৫১২, মিশকাতঃ ৪৩৪৭)

# লেখক: নুমান রিডার (Numan Reader)

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।