মাটির কুমিরকে কুপিয়ে হত্যা করা পূজার রীতি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে অনেক আজব রীতি রয়েছে। যা আমাদের বিস্মিত করে। এমনই এক পূজার রীতি হলো মাটির কুমিরকে কুপিয়ে হত্যা করা!

এই রীতি না মানলে নাকি জীবন্ত কুমির হয়ে কামড়ে দিতে পারে! সেই বিশ্বাস থেকেই যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে এমন এক পূজা, যেটি মূলত লোকমুখে কুমির পূজা নামে পরিচিত পেয়েছে।

তবে এই পূজার প্রকৃত নাম বাস্ত পূজা। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছরই এ উৎসবটি পালন করে আসছে।

এ মাসের ১৪ তারিখে (১৪ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ঝালকাঠি জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে লোকজ সংস্কৃতির এই কুমির পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাস্ত পূজা শেষে ঝালকাঠির লোকনাথ মন্দিরের পুরহিত অমল ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘বর্তমানে কুমির পূজা নামে পরিচিত হলেও মূলত এই পূজার নাম বাস্ত পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যাদের বাস্তভিটা বা স্থাপনা রয়েছে তারাই বছরের বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিন এই পূজার আয়োজন করে আসছেন বহু বছর ধরে। জনপদে বাস্তভিটা রক্ষায় বাস্ত দেবীকে সন্তুষ্ট করতেই আয়োজন করা হয় নানা আচার-আচরণ। বাহন কুমিরের পিঠে চড়েই পূজিত হন দেবি বাস্ত।’

কথিত রয়েছে যে, পূজা শেষে দেবীর বাহন কুমিরটিকে কুপিয়ে প্রতিকীভাবে হত্যা করতে হয়, নয়তো মাটির কুমির জীবন্ত হয়ে কামড়ে দিতে পারে মানুষদেরকে, বিশেষ করে শিশুদের।

পুরোহিত অমল ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘মূলত অমঙ্গল কিংবা অশুভকে তাড়াতেই প্রতিকীভাবে কুমিরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়ে থাকে। জনপদের বাসিন্দাদের বাস্তভিটা রক্ষায় বিশেষ এই ধর্মীয় আচার আনুষ্ঠান তাই কুমির পূজা নামেই পরিচিতি পেয়েছে।’

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।