২৩ এপ্রিল থেকে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু: কোন দিন কোন টিকিট জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা বিশেষ করে ঈদ উদ্‌যাপন করতে ট্রেনে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে সকলের থাকে। তবে টিকিট কাটা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘ লাইন উপেক্ষা করে কাটতে হয় ট্রেনের টিকিট। ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি।

আগামী ২ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে নিয়ে ১ মে পর্যন্ত ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৩ এপ্রিল। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে।

ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল (সোমবার) রেল ভবনে এক বৈঠক হয়। সেখানেই অগ্রিম টিকিট বিক্রির এসব তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। তবে এসব বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম আগামী বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য রেলের কর্মকর্তারা টিকিট বিক্রির দিন-তারিখ নিয়ে কথা বলতে রাজিই হননি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল বিক্রি হবে ২৭ এপ্রিল যাত্রার টিকিট। ২৪ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল যাত্রার টিকিট বিক্রি হবে। ২৫ এপ্রিল কাটা যাবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট। ২৬ এপ্রিল বিক্রি হবে ৩০ এপ্রিলের যাত্রার টিকিট। শেষের দিন, অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল বিক্রি হবে ১ মে যাত্রার টিকিট। অপরদিকে ৫ মে ঈদের ফিরতি যাত্রা শুরু হবে। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিটি বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ মে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শরিফুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজ রেলমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঈদে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে বৈঠক হয়। বুধবার মন্ত্রী মহোদয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

রেলওয়ে সূত্র বলছে যে, স্বাভাবিক সময় আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাঁচ দিন আগে থেকে বিক্রি করা হয়। এ ক্ষেত্রে এবারের ঈদেও ৫ দিন আগে থেকেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নতুন বিষয় নয়। তবে ঈদে কতোগুলো নতুন বগি যোগ হবে, কতো বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবে, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কোনো ট্রেন চালু হবে কি না, এইসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট কাটতে পারবেন কি না, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক রেলের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এই ঈদে বাড়তি কোনো চমক থাকার কোনই সম্ভাবনা নেই।

২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর হতে ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। করোনার কারণে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতও কমে যায়। এবার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন যে, এবার ঘরমুখী মানুষের স্রোত আরও বাড়তে পারে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, এবার ঈদে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাভাবিক সময় প্রতি ঈদেই ৬-৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। এবার আন্তনগর ট্রেনের ঢাকার কমলাপুর স্টেশন হতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব টিকিটের অর্ধেক অনলাইনে বিক্রি হবে এবং বাকি অর্ধেক স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।