শ্রীলঙ্কায় আবারও জরুরি অবস্থা জারি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সরকারবিরোধী ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে আবারও জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে।

গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন তিনি। আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের চলা ধর্মঘটের কারণে দোকানপাট, গণপরিবহণও বন্ধ হয়ে গেছে। জনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া জরুরি আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

গতকাল (৬ মে) দেশটির রাজধানী কলম্বো ছাড়াও অন্যান্য শহরে ধর্মঘটে নামে হাজার হাজার জনগণ। শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে গোটাবায়া সরকারকে দায়ী করে অবিলম্বে তার পদত্যাগের দাবি করে আসছেন আন্দোলনকারীরা। একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করতে গেলে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে অসংখ্য স্কুল-কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গণপরিবহণ বন্ধের কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি একেবারে চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যরাত হতেই কার্যকর হচ্ছে ঘোষিত জরুরি অবস্থা।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এইবার চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেদিয়ে কাটাতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। আমদানিকৃত খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের ঘাটতিতে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। চলতি সপ্তাহে দেশটির অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যবহার করার মতো মাত্র ৫ কোটি মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এর পরও পদত্যাগ করছেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।