চেহারার আমূল পরিবর্তন আনতে যা করবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চেষ্টা করেও ওজন কমার মধ্যে সঠিক পরিকল্পনার অভাব থেকে যায় বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনার চেহারার আমূল পরিবর্তন আসবে।

ওজন ঝরিয়ে মেদহীন, ঝরঝরে স্মার্ট থাকতে কে না চাই। রোগা হতে অনেকেই প্রাত্যহিক জীবনে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ, পরিমাণ মতো খাওয়া-দাওয়া, সকালে উঠেই ব্যায়াম করা। অথচ এতো পরিশ্রম করেও অনেক সময় সুফল মেলে না। রোগা হওয়ার কোনও চটজলদি উপায়ও নেই। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রথম দিকে খুব উৎসাহ নিয়ে রোগা হওয়ার চেষ্টা শুরু হলেও কিছু দিন পর হতেই উৎসাহ হারাতে থাকেন অনেকেই। আবার ধৈর্যও হারান। নিয়মমাফিক জীবন থেকে আবারও আগের সেই বেহিসাবি রুটিনে ফিরে যান। এতে লাভের লাভ কিন্তু কিছুই হয় না। অনেকেই আবার অবসাদেও চলে যান। চেষ্টা করেও সফল না হওয়ার মধ্যে সঠিক পরিকল্পনার অভাব থেকেই যায়। পুষ্টিবিদরা এর একটি খুব সহজ সমাধান দিয়েছেন। তারা প্রতিদিনের ৩টি অভ্যাসকেই বেশি করে জোর দিতে বলেছেন। এতে করে দ্রুত না কমলেও ওজন কিন্তু কমবে।

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন

ওজন কমাতে শুধু খাওয়া কমালেই চলবে না। শারীরিক কার্যকলাপও আপনাকে বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। অন্তত ৭ হতে ৮ হাজার পা।

শরীরচর্চার সঙ্গে কোনও আপোস নয়

সকালে উঠেই কয়েক পা হেঁটে আসার অর্থই শরীরচর্চা হয়ে গেলো না। জিমে অথবা বাড়িতে- নিয়ম করে ওজন তোলা, কার্ডিও ও অন্যান্য শরীরচর্চাও প্রতিদিনের ফিটনেস রুটিনে রাখুন। আবার বাড়িতেও যোগাসন করতে পারেন। প্রতিদিন সময় না পেলেও সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

ওজন নিয়ন্ত্রণে খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানা জরুরি। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস বদলে ফেলতে হবে। তবে মুখরোচক খাবার একেবারেই খাওয়া বন্ধ করে দেবেন তাও নয়। ইচ্ছে করলে ২০ শতাংশ মতো বাইরের খাবার খেতে পারেন। বাকি ৮০ শতাংশ খাবার যেনো ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।