কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে ফেলে না দিয়ে এর বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি কাঠবাদাম স্বাস্থ্যকর একটি খাদ্য। এর খোসাও কম উপকারী নয়। এই খোসা ফেলে না দিয়ে কীভাবে কাজে লাগাতে পারেন সেটি আজ জেনে নিন।

কাঠবাদামের বহু গুণ। ভিটামিন ও নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই বাদাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখেন অনেকেই। ভেজানো কাঠাবাদাম খেয়েই দিন শুরু করেন অনেকেই। কাঠবাদাম ভীষণ উপকারী। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে অতিরিক্ত কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে কাঠবাদামই শুধু নয়, বাদামের খোসাও সমান উপকারী। অনেকেই কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে তারপর খান। বা রান্নাতেও অনেক সময় খোসা ছাড়ানো কাঠবাদাম ব্যবহার করা হয়। না ফেলে কাঠবাদামের খোসাও বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন।

গাছের সার হিসাবে ব্যবহার

গাছের পরিচর্যায় সার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের খোসা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ কাঠবাদামের খোসা গাছের মেটাবোলাইট এবং ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সার তৈরি করতে প্রথমে বাদামের খোসা ভালো করে শুকিয়ে তারপর পিষে নিন। বাদামের খোসা থেকে তৈরি গুঁড়ো গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন। এতে গাছ ভালো থাকবে।

চাটনি তৈরি করতে ব্যবহার

বাদামের এই খোসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু চাটনি। বাদামের খোসাগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানো খোসাগুলো ভালোভাবে মিহি করে বেটে নিন। এখন কড়াইয়ে তেল ঢেলে পেঁয়াজ, গোলমরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো দিয়ে একসঙ্গে ভেজে নিতে হবে। মিশ্রণটি একটু ঠাণ্ডা হলে তাতে বাদামের খোসা বাটা, নুন, তেঁতুলের রস, কারি পাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলে তৈরি হয়ে যাবে চাটনি।

ত্বকের যত্নে খোসার ব্যবহার

ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন কাঠবাদামের এই খোসা। কাঠবাদামের খোসা দিয়ে তৈরি বডি ওয়াশ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এই উপাদানটি।

এটি কীভাবে বানাবেন

এক টেবিল চামচ বাদামের খোসার মধ্যে ২ চা চামচ দুধ, ১ চা চামচ হলুদ, সামান্য গোলাপ জল ও মধু মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে ত্বকে লাগিয়ে নিন। স্ক্রাবার ও ফেসপ্যাক হিসাবেও দারুণ কাজ করে এই মিশ্রণ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।