৩০ এর পর সুস্থ থাকতে কীভাবে যত্ন নেবেন শরীরের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরের যত্ন নেওয়ার পৃথক কোনও বয়স হয় না। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন অনেক দিন সুস্থ থাকতে ৩০ বছর বয়স থেকেই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া একান্ত দরকার।

একটা বয়সের পর হতে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নিজস্ব শক্তিও কমতে থাকে। শরীরের কার্যক্ষমতাও তখন হ্রাস পেতে থাকে। এটা ঠিক যে শরীরের যত্ন নেওয়ার আলাদা কোনও বয়সই হয় না। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, অনেক দিন সুস্থ থাকতে ৩০ বছর বয়স হতেই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া দরকার। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে হলে ৩০ বছর বয়স থেকেই জীবনযাপনে বদল আনাটা দরকার।

প্রাত্যহিক জীবনে কোন বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে অনেকেই ডায়েট করবেন বলে পরিকল্পনা করে থাকেন। কিছুদিন নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলেনও। এরপর দেখা যায় যে, বিভিন্ন কারণে আর ডায়েট করে উঠতে পারছেন না। আবার সেই আগের দিনলিপিতেই ফিরে এসেছে প্রতিদিনের খাওয়া। এমন করলে শরীরের উপর এর প্রভাবও পড়তে পারে। ফিট থাকার প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা একান্ত দরকার।

মন ভালো রাখতে হবে

অনেকেই দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে মেপে খাওয়া-দাওয়া করছেন। এতে ওজন কমলেও মনের উপর এটির প্রভাব পড়ছে। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ফিট থাকার অন্যতম শর্তই হলো মানসিকভাবে ভালো থাকা। ডায়েট করার কারণে যদি মানসিক চাপ বাড়তে থাকে, তাহলে তা বন্ধ রাখাই ভালো।

আর্দ্রতা বজায় রাখুন

আপনার শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিনি বাদ দিন

সরাসরি চিনি না খেলেও বিভিন্ন খাবারে মিশ্রিত চিনি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। চিনি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে হলে ৩০-এই জীবন থেকে বাদ দিন চিনি।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে

শরীর ঠিক রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। ঘুম ঠিকঠাক না হলে যে কোনও বয়সেই এর প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। ব্যস্ততম জীবনে ঘুমের বড়ই অভাব রয়েছে। তবে অনিদ্রা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা আরও কমিয়ে দেয়। তাই সুস্থ থাকতে ঘুম পাড়াটা অত্যন্ত জরুরি সকলের জন্যই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।