দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। পাহাড়ি ঢল ও অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী এবং হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সিলেট-সুনামগঞ্জ দুই জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটি সিলেট অঞ্চলের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।
পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার লেগে গেছে। আশ্রয়ের খোঁজে পানি-স্রোত ভেঙে ছুটছে হাজার হাজার মানুষ। সবচেয়ে বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হচ্ছে। যেখানেই শুকনো এবং উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ।
সিলেটের সবকটি উপজেলা এবং অর্ধেক শহর, সুনামগঞ্জের উপজেলা এবং পৌর শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক এবং সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান মহাসড়ক। ইতিমধ্যেই দুই জেলায় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সিলেটের বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি উঠে যাওয়ায় বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে রেলওয়ে স্টেশনে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পানি নেই, খাবার নেই, আশ্রয়ের জায়গা নেই। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
সিলেটের অন্যতম বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র কুমারগাঁও স্টেশনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। যদিও সিলেট শহরে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে গত দুদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে, কারও সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।
এদিকে সিলেটে বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। শুক্রবার বিকেল থেকেই সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন, ৬টি মেডিকেল টিম ও শনিবার সকাল থেকে নৌবাহিনীর ৩৫ সদস্য দুটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করছেন।
উদ্ধার কাজে নৌবাহিনী সদস্যরা নিজস্ব ক্রুজ এবং বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। বিকেলের মধ্যে ৬০ জনের আরেকটি দল আরও ক্রুজ ও হেলিকপ্টারসহ উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়।
অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও খারাপের দিকে যাচ্ছে। লালমনিরহাট, দিনাজপুর ছাড়াও এখন সিরাজগঞ্জেও বন্যা দেখা দিয়েছে।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জুন ১৮, ২০২২ 7:07 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…