প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র নির্মাণে ব্যস্ত সোহেল রানা বয়াতি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দুর্গম চরে তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি শুরু করেছেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির শুটিং। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

‘টিয়ার গপ্পো’ কিংবা ‘সেলাই জীবন’ কিংবা ‘হাজংদের জীবন সংগ্রাম’ বানিয়ে আগেই হাত পাকিয়েছেন তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। এবার পুরোদমে নেমে পড়লেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র নির্মাণে!

কাহিনীর প্রয়োজনেই বিরাট বহর নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর থেকে শুটিং করছেন রাজধানী শহর থেকে বহু দূরে- দুর্গম অঞ্চলে। সেখান থেকেই এই তরুণ নির্মাতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘জীবন বাজি রেখেই করছি নিজের প্রথম ছবির শুটিং। আশা করি সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’

তার প্রথম সিনেমার নাম দিয়েছেন ‘নয়া মানুষ’। ৬৫ জন ইউনিট এবং স্থানীয় ২ শতাধিক মানুষ সিনেমাটির সঙ্গে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন বয়াতি। ইতিমধ্যেই ১০/১২ দিন শুটিংও করেছেন। সেই অভিজ্ঞতার গল্পও শুনিয়েছেন এই নির্মাতা।

বলেছেন, সবাই এতো সহযোগিতা করছে দেখে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। অভিনেতা রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকারসহ স্থানীয় মানুষরা এতো আন্তরিকভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন এই কাজটাকে সফল করার জন্য, আমি সত্যিই অভিভূত!

‘নয়া মানুষ’ -এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন রওনক হাসান ও নায়িকা মৌসুমী হামিদ। আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচর’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজা’র চিত্রনাট্যে নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমাটি।

চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, বদরুদ্দোজা, সরন সাহা,আ.মা.ম হাসানুজ্জামান, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সানজানা, মাহিন রহমান, পারভিন পারু, এ্যাঞ্জেলা, শিশু শিল্পী উষশীসহ চরের ২০০ গ্রামবাসীও।

একটানা শুটিং শেষ করে এই মাসের শেষে ঢাকায় ফিরবে পুরো ইউনিট এমনটাই জানিয়েছেন বয়াতি। মুক্তির পরিকল্পনা চূড়ান্ত না হলেও, চলতি বছরের শেষ দিকে না হলেও আগামি বছরের শুরুতেই বড় পর্দায় ‘নয়া মানুষ’ মুক্তি দেওয়ার জন্য আগ্রহী বয়াতি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।