গবেষণা: প্রতি ১০ প্রজাতির একটি শতাব্দী শেষে বিলুপ্ত হতে পারে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ পৃথিবীর উদ্ভিদ এবং প্রাণিকুলের প্রজাতিগুলোর এক দশমাংশেরও বেশি বিলুপ্ত হতে পারে। অর্থাৎ প্রতি ১০টি প্রজাতির মধ্যে একটি প্রজাতিই বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রবন্ধে গবেষকরা বলেছেন যে, ‘জলবায়ু সংকটের কারণে আগামী দশকগুলোতে প্রাণী-প্রজাতির বিলুপ্তি আরও ত্বরান্বিত হবে। কারণ শিকারিরাও তাদের শিকার হারাবে, পরজীবীরা তাদের হোস্ট হারাবে ও তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র আরও ভেঙে যাবে।’

আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বলেছে যে, গেছো ব্যাঙ হতে শুরু করে বাস্কিং হাঙর পর্যন্ত অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকির লাল তালিকার মধ্যে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৩৮৮টি প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। যারমধ্যে ৪২ হাজারেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নতুন গবেষণায় যেসব তথ্য উঠে আসে তাতে গবেষকরা ধারণা করছেন যে, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৬ শতাংশ উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিলুপ্ত হবে। আর এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ এই বিলুপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমেই যেভাবে খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে, তাতে করে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ২৭ শতাংশ উদ্ভিদ এবং প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, বিজ্ঞানী এবং গবেষণা প্রবন্ধের সহ-লেখক ড. জিওভানি স্ট্রোনা বলেছেন যে, ‘আমরা গবেষণাকাজে একটি সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করেছি ও স্থলভাগ থেকে একটি ভার্চুয়াল পৃথিবী তৈরি করেছি। তারপর আমরা পৃথিবীর হাজার হাজার প্রজাতির ভাগ্য নিয়ে গবেষণা করি।’

গার্ডিয়ান জানিয়েছে যে, গবেষকরা ৩৩ হাজারেরও বেশি প্রজাতি নিয়ে ভার্চুয়াল পৃথিবীতে গবেষণা করছেন।

গবেষণা প্রবন্ধের আরেক সহ-লেখক এবং অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কোরি ব্র্যাডশো বলেছেন যে, ‘এই গবেষণাটি অনন্য, কারণ এটির মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙে যাওয়া এবং অনেক প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়া সম্পর্কে আগাম ধারণাও পাওয়া গেছে।’

অধ্যাপক কোরি ব্র্যাডশো আরও বলেছেন যে, ‘প্রতিটি প্রজাতিই কোনো না কোনোভাবেই অন্যের ওপর নির্ভরশীল। একবার ভেবে দেখুন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিকারি প্রজাতিগুলো তাদের শিকার হারিয়ে ফেলছে, বন উজাড়ের কারণে পরজীবীরা তাদের পোষকদেহও হারাচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে ফুলের উদ্ভিদ তার পরাগায়নকারীকেও হারাচ্ছে।’ মনে করা হচ্ছে, এভাবেই এক সময় বিলুপ্ত হবে বহু প্রজাতি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।