দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহান সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের আশায় ইজতেমার প্রান্তে অশ্রু জর্জরিত কণ্ঠে হাত তুলেছিলেন লাখো মুসুল্লি; নিজ গুণাহ মাফ, সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত এবং রহমত প্রার্থনা ও আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
আজকের (রবিবার) আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের তাবলিগ জামায়াতের সুরা সদস্য এবং শীর্ষস্থানীয় নেতা মাওলানা ক্কারী মো. জোবায়ের হাসান। সকাল ১০টা হতে শুরু হওয়া ২০ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে আগত অনেক মুসুল্লিকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঢল নামে আগত মুসল্লিদের। ভোগাড়া বাইপাস থেকে ইজতেমা মাঠের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এই পুরো জায়গা হেঁটেই মুসল্লিরা রওনা হন ইজতেমা মাঠের উদ্দেশে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য।
ইজতেমায় আখেরি মোনজাতে অংশ নেওয়ার জন্য ভোরের আলো ফোঁটার পরপরই হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে ময়দানের উদ্দেশে রওনা হন। এর মধ্যে হঠাৎ দুই একটা মিনিবাস, পিকআপ, অটোরিকশার দেখা পাওয়া গেলেও মুসল্লিদের কারণে ধীর গতিতে চলতে হয়।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা তো রয়েছেনই, শুধু আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে আসতে থাকেন গতকাল (শনিবার) থেকেই। বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, লঞ্চ, ট্রেন ও স্টিমারে করে এসে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে শীত, কুয়াশা এবং নানা ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই হাজির হন অনেকেই। আজ (রবিবার) ভোর থেকেই টঙ্গীমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছাতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। আশপাশের বাসাবাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ বা করিডোর, সড়কের পাশে ফুটপাতে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন বহু মানুষ। সকাল ৮টার মধ্যে গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। চার দিন বিরতির পর আবার আগামী শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। আগামী রবিবার (২২ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরে আখেরী মুনাজাতের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ও বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে এ বছরের জন্য।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on জানুয়ারী ১৫, ২০২৩ 12:38 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…