আলো জ্বালিয়ে ঘুমালে কোন রোগের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতের বেলায় অনেকেই মৃদু আলো না জ্বালালে ঘুমাতেই পারেন না। তবে আলো জ্বালিয়ে শোওয়ার অভ্যাস থাকলে এখনই তা বদল করুন, নইলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

রাতের বেলায় ঘর অন্ধকার করে শোয়ার অভ্যাসও আছে অনেকের। আবার কেও একেবারেই অন্ধকার না করে হালকা নীল কিংবা সবুজ রঙের মায়াবি আলো না জ্বালিয়ে রাখলে তাদের ঘুমই আসতে চায় না। তবে আপনি কী জানেন ঘুমানোর সময় আলো জ্বালিয়ে রাখলে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে? এই আলো শুধু ঘরের আলোর সঙ্গে সম্পর্কিতই নয়, বরং টিভি কিংবা ল্যাপটপের আলোও আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সারারাত এমন আলোয় ঘুমালে আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে। শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করেন, আমাদের শরীরে এই ধরনের আলোর নীচে ঘুমালে গ্লুকোজের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আবার এতে করে বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমনকি এটি হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ২০২২ সালে এক সমীক্ষা করা হয়, সেখানে আলো জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছেন কিছু সংখ্যক মানুষ, আবার কিছু সংখ্যক মানুষ অন্ধকার ঘরে ঘুমিয়েছেন। যারা আলো জ্বালিয়ে ঘুমিয়েছেন তাদের বিপাক ও হার্টের উপর প্রভাব পড়েছে অনেক বেশি। রাতে আলো জ্বেলে ঘুমালে কী কী ক্ষতি হতে পারে তা জেনে নিন।

মহিলাদের উপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে যে, যারা টিভি বা আলো জ্বালিয়ে ঘুমায় তাদের স্থূলতার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে।

ডিপ্রেশন হতে পারে

রাতে লাইট জ্বালিয়ে ঘুমানোর কারণে ডিপ্রেশনের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। শুধু তা-ই নয়, ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো আপনার মেজাজের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে। মূলত আলো ঘুমের অভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা মেজাজের পরিবর্তন ও বিরক্তির কারণও হতে পারে।

রক্তের শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে

দেখা গেছে রাতে শোবার সময় আলোতে দীর্ঘায়িত এক্সপোজার থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়। ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

আলো বডি ক্লক কাজ করতেও বাধা দেয়, যা বায়োমেকানিক্যাল পরিবর্তনও ঘটায়। যে কারণে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকিও থাকে। আপনি যদি আলো ছাড়া ঘুমাতে না পারেন তাহলে সাধারণ আলোর পরিবর্তে একটি লাল বাল্ব জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। আসলে লাল বাল্বগুলো মেলাটোনিন উৎপাদনে অন্যান্য রঙিন বাল্বের মতো ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না। তথ্যসূত্র: এই সময়।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।