১১ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টির দাম ৫ হাজার টাকা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুরে হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর একাদশীর দিন থেকে মেলা শুরু হয় চলে পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত। সেখানে ১১ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টির দাম ৫ হাজার টাকা!

ঐতিহ্যবাহী হিন্দু বাঘা মেলায় এবারের অন্যতম বিশেষ আকর্ষণই ছিলো ওই ১১ কেজি ওজনের বালিশ মিষ্টি। প্রতিটি মিষ্টির দাম ৫ হাজার টাকা। তাছাড়াও একই মিষ্টি রয়েছে ৫ কেজি ওজনের। এই মিষ্টির দামও এক হাজার ৮০০ টাকা। এবারের মেলায় এমন বড় মিষ্টি কিনতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।

গত শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গেও কথা হয়। তারা জানিয়েছেন, এবারের মেলার মূল আকর্ষণই হলো এই বালিশ মিষ্টি। দাম যাই হোক না কেনো দর্শনার্থীরা এই বালিশ মিষ্টি পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দোকানে বসেই খাচ্ছেন। আবার অনেকেই স্বজনদের জন্য বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বলিহার বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী রথীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, আমার দোকানের নাম ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার। এটি হলো আমার বাপ-দাদার আমলের মিষ্টির দোকান। প্রায় ৫০ বছর ধরে মিষ্টি তৈরি করে আমরা বিক্রি করছি। এবারের মেলায় বিক্রি ভালোই হচ্ছে। তবে গতবারের তুলনায় এবার সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে মিষ্টির দামও একটু বেড়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, এই বছর মেলায় আমরা বালিশ মিষ্টি নিয়ে এসেছি। ১১ কেজি ওজনের একটি বালিশ মিষ্টি ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। তাছাড়া ওজন ভেদে প্রতিটি ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১ হাজার ৫০০ টাকা, ২ হাজার টাকারও বালিশ মিষ্টি রয়েছে। প্রতিদিনই ছোট-বড় মিলিয়ে ভালোই মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে।

অপর এক মিষ্টি ব্যবসায়ী সুবাস দাস বলেছেন, আমরা প্রতিটি মোহনভোগই বিক্রি করছি ১০০ টাকা পিস। তাছাড়াও সীতাভোগের প্রতিটি ৮০ টাকা ও সম্মানীভোগ ১২০ টাকা, পানি তাওয়া ৬০ টাকা এবং রাজভোগ প্রতিটি ৬০ টাকা করে বিক্রি করছি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।