দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে খেলতে স্বাগত জানিয়েছে বিসিবি, তবে তাদেরকে পিসিবি এর কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে, সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই অফিসিয়াল বক্তব্য দিয়েছে বিসিবি। টুর্নামেন্ট শুরুর সময়ে আয়োজকদের প্রধান উদ্বেগ ছিলো ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসির(CCDM) সাথে বনিবনা এবং আবহাওয়া।
“কোনো দেশের খেলোয়াড়ের ওপরই আমাদের নিষেধাজ্ঞা নেই”, বলেছেন সিসিডিএমের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি উল্লেখ করে বলেন, “যে খেলোয়াড়ই তার দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিয়ে খেলতে আসবে তাকেই আমরা ভিসা এবং কন্ট্রাক্ট পেপারে সই করতে সহযোগীতা করবো।”
“মিডিয়ার কাছ থেকে শুনেছি পিসিবি চাচ্ছে যে আমরা তাদের লিখে পাঠাই, কিন্তু এ কাজ আমরা কোনো বোর্ডের সাথেই করিনি, আমরা শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সাথে নিয়মানুযায়ীই কাজ করেছি। তাদের কাছ থেকেও নো অবজেশন সার্টিফিকেটধারী খেলোয়াড়দের অনুমতি দিয়েছি খেলার জন্য। আমরা নিয়ম অনুসরণ যা করার তাই করবো।”
সিসিডিএমের খেলোয়াড় উৎস হচ্ছে জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যাণ্ড। কিন্তু তারা এখনও পাকিস্তান এবং ভারত থেকে কোনো খেলোয়াড় আনতে পারেনি। এরই সাথে তারা বাংলাদেশের আবহাওয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন, কারণ এখন বাংলাদেশের বর্ষা মৌসুম চলছে। বগুড়া, রাজশাহী এবং ঢাকায় প্রথম দুই রাউণ্ডের খেলা হবে, কিন্তু এই তিনজেলাতেই গত কয়েকসপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবশ্য সেপ্টেম্বর পর্যন্তই বাংলাদেশের বর্ষাকাল চলে।
ডিফেণ্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। দুইদলই সেদিন কোনো প্রকার বিদেশী খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নামবে, ঢাকাই ক্লাবের জন্য যা খুবই বিরল দৃশ্য। সেদিন জাতীয় দলের হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড়দের মাঝে খেলবেন নাসির হোসেন, আনামুল হক, রবিউল ইসলাম। এবং উঠতি খেলোয়াড়দের মাঝে খেলবেন সৌম্য সরকার, মনির হোসেন, মোহাম্মদ শরীফ এবং শাকের আহমেদ।
শেষ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া খেলোয়াড় কেনাত বেশ অর্থ খরচ করেছিলো। তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে তারা দলে এনেছিলো কামরান সাজিদ এবং আহমেদ শেহজাদকে। শোয়েব মালিককেও তারা তিন ম্যাচে পেয়েছিলো। ভারত থেকে বাঁহাতি স্পিনার ইকবাল আব্দুল্লাহকে আমদানী করে চার ম্যাচে তারা প্রত্যাশিত ফলও পেয়েছিলো।
এই মৌসুমেও তারা সাফল্য ধরে রাখতে চেষ্টা করবে। তাদের স্পন্সর গাজী ট্যাংক নিউজিল্যাণ্ড অল-রাউন্ডার স্কট স্টাইরিস এবং লঙ্কান অল-রাউণ্ডার কুশলী রত্নকে দলে আনছে। পাশাপাশি থাকছে মাহমুদুল্লাহ, ইমরুল কায়েস, রাকিবুল হাসান, রুবেল হোসেন এবং আফতাব আহমেদ।
তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী ১৭বার সাফল্য পাওয়া আবাহনী দলও এবার চ্যাম্পিয়ন হবার আশায় আছে। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। এরপর একে একে আরও ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এর মাঝে তিনবার তারা হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৮৪-৮৫, ১৯৮৫-৮৬, ১৯৮৬-৮৭ এবং ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫ এবং ২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯ মৌসুমে। সর্বেশেষ ২০১০-১১ মৌসুমে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৩ 5:18 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না। কোন ভিটামিন কিংবা…