বিয়ে করতে হলেই খেতে হবে চাবুকের কয়েকশ আঘাত!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের আনাচে কানাচে এখনও এমন অনেক জাতির বসবাস যারা আধুনিক বিশ্ব থেকে যোজন যোজন দূরে রয়েছেন। এমনই এক জাতি রয়েছে যাদের বিয়ে করতে হলেই খেতে হবে চাবুকের কয়েকশ আঘাত!

এরা এমন এক জাতি যে, আধুনিকতার ছিটেফোঁটাও লাগেনি তাদের রীতিনীতি এবং সংস্কৃতিতে। নিজেদের পূর্বপুরুষের তৈরি করা সেইসব রীতিনীতি, প্রথা এখনও মেনে চলছেন এরা। বিশেষ করে আফ্রিকান উপজাতিদের নানা সংস্কৃতি বিশ্বকে এখনও অবাক করে দেয়। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তারা তাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি পালন করে যাচ্ছেন।

যেমন- পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারিয়ায় অন্যের স্ত্রী চুরি করা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তারা যে কোনো সময় অন্যের স্ত্রীকে চুরি করে নিয়ে বিয়েও করতে পারেন। সেজন্য কোনো হাঙ্গামা হয় না এই জাতির মধ্যে। তাছাড়াও তারা বাড়িতে পুরুষ অতিথি এলে তাদের সঙ্গে স্ত্রীকেও ঘুমাতে দেন! এখানে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। তবে স্বামীদের বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা অবশ্য নেই। যে কোনো বয়সেই তারা বিয়ে করতে পারেন তার চেয়ে অর্ধেক বয়সের মেয়েকেও!

তবে এইসব উপজাতির পুরুষদের বিয়ে করতে নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। পরীক্ষা দিতে হয় ধৈর্য, পুরুষত্ব ও সহ্যের সীমা কতোটুকু তার। এইসব উপজাতির পুরুষের স্ত্রী পাওয়া এতো সহজ বিষয় নয়। রীতিমতো যুদ্ধ করে বউ জয় করতে হয় তাদেরকে। যেমন-পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়ার ফুলানি উপজাতিরা, একজন ফুলানি পুরুষকে বিয়ে করতে হলে তার ধৈর্যের চরম পরীক্ষা দিতে হবে। সেজন্য তাদের শরীরে বেদমভাবে মারা হবে চাবুকের বাড়ি। যতোক্ষণ সে এই আঘাত সহ্য করতে পারবে তার উপর নির্ভর করতে তার বিয়ে হবে কি হবে না সেটি। এক সময় অন্তত কয়েকশো চাবুকের আঘাত সহ্য করতে হয় তাদের। অনেকেই জ্ঞান হারান আবার অনেকেই সম্মান ও স্ত্রী পাবেন সেই আনন্দে হাসিমুখেই সহ্য করে নেন এইসব ব্যথা।

এভাবেই পরীক্ষা করা হয় সেই পুরুষের ধৈর্য কতোটা। স্ত্রীর কাছে সম্মান পাওয়ার জন্য বর চাবুকের আঘাত সহ্য করেন। বর যদি এই আঘাত সহ্য করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী না হয় তাহলে তার বিবাহ বন্ধ করা হয়। আবার তিনি সমাজেও অসম্মানিত হন। তবে কুলানি বর চাবুকের আঘাত থেকে বাঁচতে চাইলে রয়েছে অন্য উপায়ও। সেক্ষেত্রে কনের পরিবারকে দিতে হবে যৌতুক। তবে বেশিরভাগ পুরুষের সেই সামর্থ্যই থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে এই পথ বেছে নেন তারা।

সাতেরে মাওয়ে উপজাতির কথাই ধরা যাক। এই উপজাতির পুরুষদের পুরুষত্বের প্রমাণ দেওয়ার জন্য তাদের খেতে হয় পিঁপড়ার কামড়। বুলেট নামক ভিমরুলের আকৃতির দসেই পিঁপড়ার বিষাক্ত কামড় সহ্য করতে পারলে হওয়া যাবে প্রকৃত যোদ্ধা পুরুষ।

আমাজনের সেই বিষাক্ত প্রজাতির পিঁপড়ার নাম হলো প্যারাপোনেরা ক্লাভাটার। এর এক কামড়ে অন্তত ২৪ ঘণ্টা একটানা ব্যথা অনুভূত হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার মতোই যন্ত্রণাদায়ক এই পিঁপড়ার কামড়। এর কামড়ে অত্যাধিক কাঁপুনিরও সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ সময়ই ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন তারাই পেয়ে যান বীরপুরুষের খেতাব।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।