মৃত্যুর পর ‘ভবঘুরের’ অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেলো ১০ কোটি টাকা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একজন ভবঘুরে। দিনের পর দিন পরতেন একটাই পোশাক। গায়ে ছিলো বোঁটকা গন্ধ। রাস্তায় পড়ে থাকা টিনের ক্যান কুড়িয়ে বিক্রি করতেন তিনি। লোকের ফেলে দেওয়া স্যান্ডউইচের উচ্ছিষ্টাংশ খেয়ে পেট ভরাতেন। অথচ মৃত্যুর পর ওই ‘ভবঘুরের’ অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেলো কোটি টাকা!

ওই ভবঘুরের জীবনের ৪০টি বছর কেটেছে ঠিক এমনিভাবেই। নিজের বলতে তেমন কেও ছিলেনও না। সেই ‘ভবঘুরে’ই যখন হঠাৎ মারা গেলেন, তখন দেখা গেলো তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা!

ওই ব্যক্তির নাম কার্ট ডেগেরম্যান। লোকে তাকে ডাকতো টিন ক্যান-কার্ট বলে। উত্তর সুইডেনের স্কেলেফটিয়ায় বসবাস করতেন কার্ট। কখনও কারও কোনো ক্ষতি করেননি কার্ট। দিনভরই রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। তিনি রাস্তা থেকে টিনের ক্যান কুড়িয়ে নিতেন। অনেকেই তাকে পাগল ভাবতেন।

রাস্তা থেকে টিনের ক্যান কুড়িয়ে কুড়িয়ে দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন কার্ট। তখন কারও মাথাতেও আসেনি যে, ওই টাকা দিয়ে আসলে কী করেন তিনি? কোথায় বা খরচ করতেন?

প্রায় সারা জীবন একটা নীল জ্যাকেট পরে কাটিয়েছেন কার্ট। খুব দরকার না পড়লে সেই সব কাচতেনও না। রাস্তায় ঘুরতে গিয়ে যা কুড়িয়ে পেতেন, তাই খেতেন। কখনও কোথাও বিনা খরচে কিছু খাবার পাওয়া গেলে তা নিতে চলে যেতেন কার্ট। অনেক সময় কিছু না খেয়েও কাটিয়ে দিতেন।

কার্টকে যারা দেখতেন, তারা কোনো দিন ভাবতেই পারেননি কিসে তার ঝোঁক। আসলে কার্টের শেয়ার কেনাবেচায় দারুণ ঝোক ছিল। বাতিল ক্যান বিক্রির টাকা নানা শেয়ারে বিনিয়োগ করতেন।

শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য পরিশ্রমও করতেন কার্ট। প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবসা এবং শেয়ার সংক্রান্ত সব খবর পড়তেন। ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকাও খতিয়ে দেখতেন।

খবরের কাগজ কখনও কিনে পড়তেন না কার্ট। প্রতিদিন স্থানীয় লাইব্রেরি যেতেন। সেখানে গিয়ে খবরের কাগজগুলো পড়তেন। তার এক ভাগ্নে জানিয়েছেন যে, লাইব্রেরি গিয়ে সুইডেন বিজনেস ডেলি পড়তেন কার্ট।

কার্টের চাচাতো ভাই বলেছেন, কোন শেয়ার কখন কেনা প্রয়োজন, কখন বিক্রি করা প্রয়োজন, তা খুব ভালোই বুঝতেন তিনি।

হঠাৎ এক দিন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন কার্ট। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৬০ বছর। তার আত্মীয়রা জানতে পারেন, সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৭ লাখ ৩১ হাজার পাউন্ড রয়েছে কার্টের। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকারও বেশি।

শুধু তাই নয়, সোনার বারও কিনে রাখেন কার্ট। সেই সোনার বারের মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। বাড়িতে খুচরা হিসাবে পড়েছিল ২৭৫ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।

মৃত্যুর পূর্বে উইল করেছিলেন কার্ট। নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এক চাচাতো ভাইয়ের নামে লিখে গিয়েছেন। সেই ভাই মাঝেমধ্যে তার সঙ্গে দেখা করতেও আসতেন। তার খোঁজখবরও নিতেন।

তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনায় বেশ ভালো ছিলেন কার্ট। স্কুলে পড়তেন। এরপর ব্যক্তিগত কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হন। কেন? অবশ্য সে কথা জানাতে চাননি কার্টের ভাই।

তবে এক ভাই এত সম্পত্তি পেয়েছেন দেখে কার্টের অন্য চাচাত ভাই মামলা ঠুকে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন যে, কার্টের কাকা হিসাবে তার বাবারওতো কিছু প্রাপ্য রয়েছে। সেই মামলা চলে বেশ কয়েক বছর।

শেষ পর্যন্ত আদালতের বাইরেই রফা করেন কার্টের দুই চাচাতো ভাই। কার্টের সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ নিয়েছেন তারা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।