দাঁত দিয়ে নখ কাটা কিংবা গোড়ালি থেকে ছাল তোলার অভ্যাসে ইতি টানবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ‘ট্রিকোটিল্লোম্যানিয়া’য় আক্রান্ত। অভ্যাস বদল করতে বলা খুবই সহজ। কিন্তু কীভাবে শুরু করবেন, সেই বিষয়টি জানিয়েছেন গবেষকরা।

মাথায় কোনও চিন্তা-ভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকলে দাঁত দিয়ে নখ কাটেন অনেকেই। কাজ থেকে একটু অবসর পেলেও বসে বসে পায়ের ফাটা গোড়ালি থেকে ছাল তুলতে থাকেন অনেকেই। এমন দৃশ্য আমাদের আশপাশে হর-হামেশাই ঘটতে দেখা যায়। অনেকেই আবার নিজের মাথার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল থেকে অভ্যাসবশত: চুলও তুলতে থাকেন। যে কারণে মাথার ওই অংশটি ক্রমেই ফাঁকা হতে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে ‘ট্রিকোটিল্লোম্যানিয়া’ বলা হয়ে থাকে। নিজের মধ্যে এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করার মানসিকতা তৈরি না হলে এই ‘রোগ’টি সারানো সম্ভব নয় বলেই সকলে জানতেন এতোদিন। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে যে, এই ধরনের অভ্যাস বদলের ‘স্ট্র্যাটেজি’ও হতে পারে হাতের আলতো ছোঁয়া কিঙবা বিশেষ পদ্ধতিতে হাত ঘষা।

‘জামা ডার্মাটোলজি’ নামে এক জার্নালের গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, দিনে অনন্ত দু’বার দুটি হাতের তালু, আঙুলের ডগা কিংবা কনুইয়ের বিপরীত দিকে একত্রিত করে ঘষতে পারলে এই অভ্যাসে ইতি টানাও যেতে পারে। ৬’সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৭০ জন ‘ট্রিকোটিল্লোম্যানিয়া’ আক্রান্ত রোগীর উপর সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন। ‘টিএলসি ফাউন্ডেশন ফর বডি-ফোকাস্‌ড রিপিটেটিভ বিহেভিয়ার্‌স’-এর দেওয়া রিপোর্ট বলছে যে, বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে দাঁত দিয়ে নখ কাটা, ছাল তোলা কিংবা মাথার চুল ছেঁড়ার অভ্যাসও রয়েছে।

সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের দু’টি দলে ভাগ কর হয়। প্রথম দলটিকে এই অভ্যাস ছাড়ানোর চিকিৎসার মধ্যেদিয়ে ও দ্বিতীয় দলটিকে ওই বিশেষ ‘স্ট্র্যাটেজি’র মধ্যেই রাখা হয়। দ্বিতীয় দলটির মধ্যে ৮০ শতাংশই জানিয়েছেন যে, তাদের অভ্যাসে বদল এসেছে। জার্মানির ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার হামবার্গ-এপেনডর্ফের ক্লিনিক্যাল নিউরোসাইকোলজি বিভাগের প্রধান গবেষক স্টিফেন মর্টিজ় বলেছেন যে, “বিকল্প এই চিকিৎসার নিয়মই হলো শুধু নিজের দেহে আলতো করে ছোঁয়া। মানসিক উদ্বেগ কিংবা চাপের মধ্যে থাকলে একটু জোরে জোরেও হাতের তালু ঘষতে পারেন। তবে সেটি গায়ের জোরে কখনই নয়।” তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ২৭, ২০২৩ 11:28 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

আইফার্মার ও ইউসিবি’র প্রকল্প: অগ্রিম ঋণ পরিশোধ করলেন ভুট্টা এবং মরিচ চাষিরা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভুট্টা এবং মরিচ চাষিদের জন্য ব্যাংক অর্থায়ন ও ঋণ পরিশোধের…

% দিন আগে

‘সংবাদ’ নিয়ে বড়পর্দায় ফিরছেন ‘এই তো প্রেম’ নির্মাতা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুপারস্টার শাকিব খান এবং বিন্দুকে নিয়ে ‘এই তো প্রেম’ নির্মাণ…

% দিন আগে

সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার…

% দিন আগে

সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার: কেওই বেঁচে নেই

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে।…

% দিন আগে

শিশুর আঙ্গুলে সার্জারির পরিবর্তে এক চিকিৎসক জিহ্বায় অপারেশন করলেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতে ৬াট আঙুল থাকায় ৪ বছরের এক কন্যা শিশুকে অপারেশন…

% দিন আগে

এমন দৃশ্যের উপরে আর কিছু হতে পারে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২০ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে