দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের ক্যান্সারের প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তবে ইদানীং ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যান্সারের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। মাথা-গলার ক্যান্সার শরীরের কোনও একটি অঙ্গে হয় না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, বিশেষ করে গলার এবং মাথা সংলগ্ন যতোগুলো অঙ্গ, সর্বত্র এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে।
সাধারণত মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার, নাকের ক্যান্সার, সাইনাসের ক্যান্সার, থাইরয়েডের ক্যান্সার- এগুলো সমষ্টির নামই হলো ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যান্সার। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সম্প্রতি এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
কেনো হয় ‘হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার’?
মূলত অত্যধিক তামাক সেবনের কারণে এই ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে। ধূমপান তো আছেই, সেইসঙ্গে আরও কিছু তামাকজাত দ্রব্য সেবনের অভ্যাসও এই ধরনের ক্যান্সারের নেপথ্যে রয়েছে। মাথা-গলার ক্যান্সারে জিভ সবচেয়ে আগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এটি খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়। পূর্বে জিভ বাদ দিতে হততো। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নত হওয়ায় এখন অবশ্য পুরোটা দিতে হয় না। চিকিৎসকের চেষ্টা করেন অঙ্গগুলো যতোটা সম্ভব বাঁচানোর। রেডিয়েশনে পদ্ধতি বর্তমানে অনেক উন্নত। অস্ত্রোপচারের ধরনও অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। তবে চিকিৎসকর জানিয়েছেন, এই সবটিই সম্ভব যদি ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে থাকে। দেরি হয়ে গেলে এই ধরনের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। মাড়িতে ঘা, দাঁতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা, গলা ব্যথা, গলা জ্বালা- দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আবার দৈনন্দিন জীবনের কিছু অনিয়মও এই ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে। তাই ঝুঁকি কমাতে প্রত্যাহ জীবনে কিছু বদল আনাটা জরুরি। তামাকজাত দ্রব্য বা মদ্যপানের কারণে তো বটেই, সেইসঙ্গে অত্যধিক পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়ার ফলেও মাথা ও গলার ক্যান্সার হতে পারে। শরীরে ভিটামিন এ, সি, ই, আয়রণ, সেলেনিয়াম, জিঙ্কের মতো উপাদানের ঘাটতি তৈরি হলেও ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি ঝোঁক, নিয়ম করে তেল-মশলা খাওয়ার কারণেও ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার অন্যতম উপায়ই হলো, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন বন্ধ করা। তা না হলে সুস্থ থাকা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসে। ফলমূল ও শাকসব্জি বেশি বেশি করে খেতে হবে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবারদাবার থেকেও দূরে থাকা জরুরি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ৩১, ২০২৩ 3:40 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…