দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় দেখা যায় খেতে বসেই পেটের ডান দিকে যন্ত্রণা হচ্ছে। এমন সমস্যা হলে কোন অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে?
পেটের ডান দিকে ব্যথা হলে তা অবহেলা করা মোটেও ঠিক নয়। এই ধরনের ব্যথা বড় অসুখের উপসর্গও হতে পারে। প্রধানত ৩টি কারণে পেটের ডান দিকে এভাবে ব্যথা করতে পারে। আজ জেনে নিন কী সেই কারণ?
খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পানি না খাওয়া, কারণে-অকারণে রাস্তার ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা- এমন কিছু কারণে মাঝে-মধ্যেই পেটে ব্যথা লেগেই থাকে। সব সময় যে পেটের এই ব্যথা আমরা খুব বেশি গুরুত্ব দিই তা-কিন্তু নয়। কাজের ব্যস্ততায়, পেটে ব্যথা হলেও সেই দিকে নজর দেওয়ার সময়ই থাকে না। ব্যথা চেপে রাখার এই অভ্যাসে বাড়তে পারে বিপদ। তবে সব পেটে ব্যথার নেপথ্যেই যে বড় কোনও অসুখ লুকিয়ে রয়েছে, তা অবশ্য নয়। আপনার পেটের ঠিক কোন অংশে ব্যথা হচ্ছে, তার উপরই নির্ভর করে এর কারণ।
দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই গ্যাসের কারণেই পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়ে থাকে। সারাবছর ধরে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম হলে, বুকজ্বালা, মুখের ভিতর টক ভাব শুরু হয়ে যায়। এগুলো ছাড়াও গ্যাসের আরও একটি লক্ষণ হলো পেটের ডান দিকে ব্যথা। তবে কী কী কারণে পেটের ডান দিকে যন্ত্রণা হতে পারে?
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেটের ডান দিকে ব্যথা হলে তা অবহেলা করা মোটেও ঠিক নয়। এই ধরনের ব্যথা বড় অসুখের উপসর্গও হতে পারে। প্রধানত ৩টি কারণে পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে। আজ জেনে নিন, কেনো এই ব্যথা অহহেলা করলে বিপদের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ফ্যাটি লিভার
আমাদের জীবনধারার অনিয়মের কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বর্তমানে ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবারসহ নানা কারণে এই সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে লিভার সিরোসিস দেখা দিতে পারে। এই রোগের অন্যতম উপসর্গই হলো পেটের ডান দিকে ব্যথা। প্রায়ই এমন ব্যথা হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অ্যাপেনডিক্স
দীর্ঘদিন ধরে পেটের ঠিক ডান দিকে ব্যথা করলে তা অ্যাপেনডিক্সের উপসর্গও হতে পারে। শারীরিক জটিলতা না বাড়াতে চাইলে যন্ত্রণা অবহেলা না করাই উত্তম অর্থাৎ এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ক্যান্সার
শরীরের যে অংশে এই মারণরোগ ক্যান্সার বাসা বাঁধে, সেখানেই ক্যান্সারের উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে পেটের ডান দিকে ক্রমাগত ব্যথা হওয়া। বেশি দিন এই ব্যথা ফেলে রাখলে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মাঝে-মধ্যেই এমন ব্যথা হতে থাকলে অতি শীঘ্র তা গুরুত্ব দিয়ে দেখুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ১৪, ২০২৩ 5:03 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার পর এবার প্রকাশ্যে হামলার শিকার হলেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘কফিন অফিস চেয়ার'। কেনো এই নাম? তার ব্যাখ্যা দিয়ে এক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্ধারিত একটা বয়সের পর মানুষের উচ্চতা বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্লোবাল ইকোনোমিক্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ অর্জন করলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো অভিনেতা জহির ইকবালের সঙ্গে গোপনে প্রেম…