দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে চালু হলো বহুলপ্রত্যাশিত ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন হতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এই পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।
এখন থেকে যে কেও চাইলে এই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে যুক্ত হতে পারবেন। সেজন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইটও চালু করেছে। সেটি হলো http://www.upension.gov.bd
এই পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বেসরকারি খাতে নতুন এক মাত্রা যোগ হলো। আগামী দিনে বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন দেশের সাধারণ নাগকিরা। তবে এই স্কিম থেকে বাদ পড়েছেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ। এরা সবাই নগদ ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন।
পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাটি সমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় এই স্কিমে তারা যুক্ত হতে পারবেন না। একই সঙ্গে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরাও আপাতত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বকর্মে নিয়োজিত এবং স্বল্প-আয়ের নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।
জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাশ করা হয়। ৩১ জানুয়ারি আইনটিতে সম্মতি দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর ১৩ আগস্ট এর বিধিমালা জারি করা হয়।
সরকারি পেনশন স্কিমে যেভাবে অংশ নেওয়া যাবে
এই পেশন স্কিমে মাসিক চাঁদা ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কর্মসূচি পরিবর্তন ও চাঁদার পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগও থাকছে। পাস হওয়া ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’অনুসারে, ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও এই আইনের আওতায় নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করার মাধ্যমে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সেইক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষ হওয়ার পর তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। আজীবন অর্থাৎ পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে। চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে তবেই মাসিক পেনশন পাবেন।
চাঁদা প্রদানকারীর বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত মুনাফাসহ জমার বিপরীতে তখন পেনশন দেওয়া হবে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়- নিম্ন আয় সীমার নিচের নাগরিকদের বা অসচ্ছল চাঁদাদাতার ক্ষেত্রে পেনশন তহবিলে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবেও দিতে পারবে।
একজন পেনশনার আজীবনই পেনশন সুবিধা পাবেন। তবে পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তার নির্ধারিত নমিনি অবশিষ্ট সময়ের জন্য (অর্থাৎ মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পূর্বে মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনি অথবা উত্তরাধিকারকে ফেরত দেওয়া হবে।
কতো জমা দিলে সর্বোচ্চ কতো টাকা পাওয়া যাবে
পেনশন তহবিলে জমা দেওয়া অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন তোলার প্রয়োজন পড়লে চাঁদাদাতা আবেদন করলে জমা দেওয়া অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তুলতেও পারবেন, যা পরবর্তীতে ফিসহ পরিশোধ করতে হবে।
পেনশন থেকে পাওয়া অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে ও পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবেও গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে।
সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি বা আধা সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারবে। এইক্ষেত্রে কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ তখন কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
তবে সরকারি সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি এবং আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা পেনশন ব্যবস্থার আওতা বহির্ভূত থাকবে। সরকার আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রজ্ঞাপন জারি করার মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করবে বলে জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ১৭, ২০২৩ 3:15 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না। কোন ভিটামিন কিংবা…