বিএটি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা অনুদান দিলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১৮ কোটি ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৭ শত ৮৫ টাকা অনুদান দিলো বিএটি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন প্রণয়নের পর থেকেই এই তহবিলে নিয়মিতভাবে অর্থ প্রদান করে আসছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এম.পি এর হাতে বিএটি বাংলাদেশ এর হেড অব ট্যালেন্ট, কালচার অ্যান্ড ইনক্লুশন সাদ জসিম, হেড অব লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সুদেশ পিটার, সিনিয়র ম্যানেজার-এক্সটার্নাল রিলেশনস আরাফাত জায়গীরদার, কনসালট্যান্ট আখতার আনোয়ার খান ও বিজনেস কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার ফুয়াদ বিন সাজ্জাদ- এই ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল চেক হস্তান্তর করেন। এই সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Related Post

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠনের পর থেকে একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটি বাংলাদেশ তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ এই তহবিলে নিয়মিত প্রদান করে আসছে।

উল্লেখ্য, এই বছর বিএটি বাংলাদেশ ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রদান করেছে যা গত বছরের তুলনায় ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি।

শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সহযোগিতার জন্য ‘শ্রমিক কল্যাণ তহবিল’ গঠন সরকারের একটি অভাবনীয় উদ্যোগ। এই তহবিল দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে যে কোনো বড় ধরনের বিপদে শ্রমিক ও তার স্বজনদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা শ্রমিকের কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনে স্বস্তি বয়ে এনেছে।

এক বিবৃতিতে বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসিম বলেন, “উন্নত বাংলাদেশ গঠনে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের নানামুখী কার্যক্রমের অন্যতম উদ্যোগ” ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ তহবিলে বিএটি বাংলাদেশের বার্ষিক অনুদান দেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক ভূমিকার একটি অনন্য উদাহরণ। আমরা বিশ্বাস করি, এদেশে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এক সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসবে।”

বিগত ১১৩ বছর ধরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রমের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে বিএটি বাংলাদেশ। বিগত ১০ বছরে এই তহবিলে সর্বমোট ৯৭ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার ৯ শত ৭৫ টাকা প্রদান করেছে বিএটি বাংলাদেশ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ 10:57 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে

আপনার স্মার্টফোন আগুনের মতো গরম হচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গ্রীষ্মে শুধুমাত্র শরীরই নয়, গরম হচ্ছে আমাদের স্মার্টফোনটিও। ফোন…

% দিন আগে

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে

পাহাড়-পর্বতের এক অসাধারণ দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে