স্যান্ডউইচের মোড়কে এবার মানি লন্ডারিং!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্যান্ডউইচ খাওয়া যায় খুব সহজেই। কর্মব্যস্ত অনেক মানুষই তাই খাবারের সময়টুকু বাঁচাতে কাজ করতে করতে কিংবা হাঁটতে হাঁটতে বা গাড়ি চালাতে চালাতেই খেয়ে নেন এই স্যান্ডউইচ। তবে এবার এই স্যান্ডউইচকে ব্যবহার করা হলো মানি লন্ডারিংয়ের কাজে!

দুই টুকরা পাউরুটির মাঝখানে ডিম, মাংস, টমেটো, শসা, সসসহ নানা জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয় মজাদার এই খাবারটি। তবে পাউরুটির বদলে যদি পাউন্ড ব্যবহার করা হয় এই স্যান্ডউইচে তাহলে কেমন হবে!

ঠিক এমনি এক অভিনব ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টির হারউইচ শহরে। সম্প্রতি রুরাল এনগেজমেন্ট টিম (আরইটি) হারউইচে রুটিন তল্লাশি চালায়। তখন দেখা যায়, এক ব্যক্তি তল্লাশি এড়ানোর জন্য তার গাড়িটি নিয়ে ভুল পথে ছুটেছেন। তবে তিনি পুলিশের চোখ থেকে রক্ষা পাননি।

তারপর পুলিশ গাড়িকে আটকায়। তল্লাশি চালানোর পর পুলিশ গাড়ির ভেতর একটি ব্যাগ পান। সেখানে ছিল ফয়েল পেপার দিয়ে মোড়ানো এক স্যান্ডউইচ। এটি দেখার পর পুলিশের সন্দেহ হয়। ফয়েল পেপার খুলেই পুলিশের চোখ কপালে উঠে যায়। তারা দেখেন, আদতেও এটি খাওয়ার স্যান্ডউইচ নয়, সেখানে পুলিশ দেখতে পান নগদ ৭০ হাজার পাউন্ড যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৭৭৩ টাকা!

তারপর মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ২৮ বছর বয়সী গাড়ির চালক মারিয়াস রাকজিনস্কিকে। ৮ সেপ্টেম্বর চেমসফোর্ড ক্রাউন কোর্টে শুনানির সময় মারিয়াস নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। অবৈধ অর্থ বহনের দায়ে তাকে ২০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org