আর কতো লাশ দেখতে চাই ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক লাশের খেলায় মেতেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। আর তাদের দোষর হয়ে হাততালি দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আর কতো লাশ দেখতে চাই ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র?

যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে রেখেছে ইসরাইল। জবরদখলকারী ইসরাইল বছরে পর বছর শুধু গাজা দখল করে রেখেছে তা নয়। সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা করছে।

এবার তারা নতুন উসিলা পেয়েছে হামাস। তারা নাকি হামাসকে থামাতে চাই। যদি তাই চাইতো তাহলে নারী-শিশুসহ নিরস্ত্র মানুষের উপর এভাবে বর্বরোচিত হামলা চালাতো না। তারা হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করতো না। তারা শত শত ঘর-বাড়ি, মন্দির মসজিদ এমনকি হাসপাতালে হামলা চালাতো না।

Related Post

সন্ত্রাসী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে বরাবরই মদদ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামাসকে নিধনের দোহায় দিয়ে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের উপর ইতিহাসের বর্বরতম নির্মমতম হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।

এদিকে ইরানসহ বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এর প্রতিবাদ করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যে কারণে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর লাগাতারভাবে বিমান হামলা করে আসছে ইসরাইল। অথচ বিশ্বের মানবাধিকারের দোহায় দেওয়া রাষ্ট্রগুলো যেনো নিশ্চুপভাবে সব কিছু দেখে আসছে। শুধু নিন্দা ও বড় বড় বুলি আওড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সবকিছু। কিন্তু আর কতো দিন চলবে এই অবস্থা।

মানবেতর জীবন যাপন করছে গাজার মানুষ। তারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। যেখানে পানি নেই, খাবার নেই এক মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।

এদিকে দিনকে দিন ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার বিষয়টি মূখ্য বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার কারণে কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করতে পারে না জাতিসংঘ।

আজ বিশ্ব মানবতা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? কোথায় রয়েছে সেই হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ (Human Rights Watch)। তারা এখন কী করছেন? নাকি তারাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুসারী হয়েছেন?

ফিলিস্তিনিতে ইসরাইলের এই নেক্কারজনক হামলা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রাপ্য অধিকার স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা আজ বিশ্ববাসীরও একমাত্র কামনা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ২২, ২০২৩ 12:28 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ইরানি পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং চাবুক মারার নির্দেশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…

% দিন আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি বিচারপতির

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ফৌজদারি ঘুষ মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট…

% দিন আগে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উৎসবমুখর পরিবেশে বেসিস নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে…

% দিন আগে

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন…

% দিন আগে

বেসিস নির্বাচন ২০২৪-২০২৬: পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার…

% দিন আগে

সমুদ্রের মধ্যেও পাহাড়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে