মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন তার বাবা, খুনির সাজার রায়ও ঘোষণা হয়েছিলো আদালতেই। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই তিনি মত পাল্টালেন এবং ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন!

ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন তার বাবা, খুনির সাজার রায়ও ঘোষণা হয়েছিলো আদালতেই। তবে মৃত্যুদণ্ডের সেই রায় কার্যকর করার ঠিক পূর্বেই নিজের সন্তানের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন বিচারপ্রার্থী ওই ব্যক্তি।

৭ মে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল হুমাইদি আল হারবি নামে ওই বাবা হঠাৎ করেই দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন যে, তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তার এমন উদারতা দেখে অবাক হয়েছেন উপস্থিত সব কর্মকর্তারাও। ওই দেশে হত্যার শাস্তি হত্যার মাধ্যমেই দেওয়া হয়ে থাকে।

Related Post

শোকাহত ওই পিতার মহানুভবতার ঘটনাটি সম্প্রতি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। খুনের অপরাধে এক তরুণের মৃত্যুদণ্ড হতে দেখে খারাপ লাগে ছেলেহারা ওই বাবার। তাই নিজের সন্তানের হত্যাকারীকে জীবন ভিক্ষা দেন তিনি।

ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্বে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা। তবে ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। তবে শেষ মুহূর্তে এসে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

ক্ষমা ঘোষণার পরই, তরুণ অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের হাত হতে রক্ষা করার জন্য আল হারবির চারপাশে জড়ো হয়ে উপস্থিত জনতা তার সহানুভূতিশীল কাজের জন্য প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

আল হারবির এই পদক্ষেপে সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক প্রশংসাও অর্জন করেছে। ওই বাবার এমন উদারতায় সাধারণ মানুষের হৃদয় ছুয়ে যায়। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য যে, সৌদি আরবে হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তিই হলো মৃত্যুদণ্ড। দেশটিতে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে দণ্ড কার্যকরের পূর্বে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের কাছে হত্যাকারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়ে থাকে। পরিবার ক্ষমা করলে সেই মৃত্যুদণ্ড তখন রহিত করা হয়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মে ৯, ২০২৪ 10:03 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার…

% দিন আগে

সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার: কেওই বেঁচে নেই

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে।…

% দিন আগে

শিশুর আঙ্গুলে সার্জারির পরিবর্তে এক চিকিৎসক জিহ্বায় অপারেশন করলেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতে ৬াট আঙুল থাকায় ৪ বছরের এক কন্যা শিশুকে অপারেশন…

% দিন আগে

এমন দৃশ্যের উপরে আর কিছু হতে পারে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২০ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

নিজের রান্না করা খাবার খেয়েও বদহজম হতে পারে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়ার সময় অসতর্কতার কারণে কিছু কিছু ভুল হতেই পারে। যা…

% দিন আগে

ক্রিকেট আইকন মাশরাফির সাথে আনন্দঘন সময় কাটানোর সুযোগ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অল্প ক’দিন আগে শেষ হলো দেশের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ফিনান্সিয়াল…

% দিন আগে