যেসব লক্ষণ বলে দিতে পারে শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব রয়েছে কি না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৌসুম বদলের এই সময় ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে ভিটামিন সি। এছাড়াও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ভিটামিনটি মানব শরীরে হাড়ের গঠন, রক্তনালীর স্বাস্থ্য ও ক্ষত নিরাময়ের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শীতের ভাব এসে গেছে। আর এই সময় অনেক বাড়িতেই কমলালেবু খাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। কারণ হলো, কমলালেবুতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ অনেক বেশি। মৌসুম বদলের এই ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে এই ভিটামিন সি। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের প্রয়োজনের নিরিখেও একদম উপরের দিকেই রয়েছে ভিটামিন সি। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ভিটামিন শরীরে হাড়ের গঠন, রক্তনালীর স্বাস্থ্য ও ক্ষত নিরাময়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি রক্তে থাকাটা প্রয়োজন। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কি-না, সেটি কিছু লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায়। কী সেই লক্ষণ?

ক্লান্তি লাগা

Related Post

অনেক সময় কায়িক পরিশ্রম না করেও হঠাৎ যদি খুব ক্লান্ত মনে হয়, তাহলে রক্তে ভিটামিন সি’র মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ হলো, ভিটামিন সি শরীরে কার্নিটিন নামক একটি অণু উৎপাদনেও সহায়তা করে। সেটি দেহের ফ্যাটকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতেও সাহায্য করে।

থাইরয়েড

মানব শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব হলে শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। আর হঠাৎ হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে, খিদে চলে যাওয়া বা বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণও দেখা যায়।

ত্বকের সমস্যা

ভিটামিন সি’র অভাবে ত্বকের নানা ধরনের রোগ হতে পারে। ত্বক জ্বালা করে এমনকি চুলকায়। ভিটামিন সি’তে থাকে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা কোলাজেন উৎপাদনেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কোলাজেন প্রোটিনটি স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

রক্ত স্বল্পতা

শরীরে আয়রণ শোষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন সি। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে আয়রণ শোষণের হার কমে যায়, যে কারণে রক্ত স্বল্পতার মতো রোগও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার অভাব দেখা দেয়।

মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা

শরীরে ভিটামিন সি’র অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও মাড়ির রোগও হতে পারে। হতে পারে স্কার্ভি রোগ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ৫, ২০২৩ 9:38 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…

% দিন আগে

কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে আইফার্মার এবং উইনরক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…

% দিন আগে

তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…

% দিন আগে

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে

এসএসসি’র ফল প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…

% দিন আগে

ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি হেডফোন: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট সব্জির বাগান। এরমধ্যে কোথা থেকে এসে…

% দিন আগে