দেদারচে মুখরোচক খাবার খেয়েও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে মুখরোচক খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। সেটি হতে পারে না। খাবার থেকে বাড়তি তেল দূর করারও বিশেষ উপায় রয়েছে। সেগুলো কী আপনার জানা আছে? আজ জেনে নিন বিষয়টি।

একদিকে বাঙালিরা যেমন ভোজনরসিক- ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যসচেতনও বটে। তাই দেদারচে বাইরের রকমারি খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের যত্ন নিতেও জানেন অনেকেই। তেলেভাজা খাবার বাঙালির খুব প্রিয়। ডোবা তেলে ভাজা ফিশফ্রাই হোক বা মাছের কচুরিই হোক- ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় না পেয়েই কামড় বসান অনেকেই। দেদারচে খাবার খাওয়া নিয়ে অকুতোভয় হলেও, তেলের বিষয়ে খানিকটা সতর্ক হওয়াটা জরুরি। কারণ ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে জেল্লাহীন ত্বক, সব কিছুরই মূলে রয়েছে এই খাবারের তেল। তাই বলে এমন মুখরোচক খাবার খাওয়া রাতারাতি বন্ধ করে দেবেন? সেটি হতে পারে না। খাবার থেকে বাড়তি তেল দূর করারও উপায় রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে মুখরোচক খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা যাবে।

ব্লটিং পেপার

Related Post

আপনি হয়তো ডিমের ডেভিল কিনে এনেছেন। তবে প্যাকেট থেকে বার করতেই তেল চপচপে ডেভিল দেখে খাওয়ার ইচ্ছাটা খানিকটা চলে যাওয়ায় কিন্তু স্বাভাবিক। তবে বাড়িতেই ব্লটিং পেপার থাকলে কোনও সমস্যায় নেই। ব্লটিং পেপার দিয়ে ডিমের ডেভিলের তেল শুষে নিতে পারেন।

এয়ার ফ্রায়ার

হয়তো আপনার বাড়িতে অতিথি আসবে। তবে সেই অতিথি একেবারেই তেলেভাজা খায় না। এদিকে চিকেন শিঙাড়া বানাবেন বলে আপনি ঠিক করেছেন। বাড়িতে এয়ার ফ্রায়ার থাকলে তো চিন্তা করার দরকারই নেই। চিকেন শিঙাড়া সেখানেই ভেজে নিতে পারেন।

ননস্টিক কড়াই ব্যবহার

যদি আপনি কমতেলে খাবার বানাতে চান- তাহলে ননস্টিক পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। ননস্টিক কড়াইয়ে এমনিতেই কম তেলে ব্যবহার করেও সুস্বাদু খাবার রান্না করা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের ননস্টিক হতে হবে। সাধারণ ননস্টিক ব্যবহার করলে এতো উপকার বা সুবিধা নাও পেতে পারেন।

গ্রিল করে নিন

মুখরোচক খাবারের অর্থই যে ডোবা তেলে ভাজতে হবে, তার কোনও মানেই হয় না। চিকেন, মাছ গ্রিল করেও নানা বাহারি পদ ইচ্ছে করলে রান্না করা যায়। রান্নায় একফোঁটা তেলের ব্যবহারও হলো না। তবে ভালো ও সুস্বাদু খাবার খেয়ে মন ভালো হয়ে গেলো।

হালকাভাবে ভেজে নিন

অনেক সময় অল্প তেল দিয়েও মুখরোচক খাবার রান্না করা যায়। ডায়েটের পর্বে অনেকেই অল্প তেলে সব্জি হালকা নাড়াচাড়া করেই খেয়ে থাকেন। তবে তেমনিভাবে কোনও রান্নাও করতে পারেন। তাতে স্বাদের যত্নও হবে। আবার শরীরও থাকবে ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ৩০, ২০২৩ 4:10 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ফেসবুকে পছন্দের পুরনো রিলস খুঁজে পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুকে কখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায় বোঝা যায়…

% দিন আগে

শীঘ্রই আসছে জিমের ‘মেঘবালিকা’ নামে নতুন নাটক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মাফতুহা জান্নাত জিম। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে…

% দিন আগে

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বন্দুকধারীর গুলি: আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করে অজ্ঞাত বন্দুকধারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম…

% দিন আগে

পৃথিবীতে এমন ৫টি দেশ রয়েছে যেখানে ২৪ ঘণ্টাই দিনের আলো থাকে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি বিশ্বের প্রায় জায়গাতেই ১২ ঘণ্টার দিন, ১২ ঘণ্টার…

% দিন আগে

সত্যিই এক অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

গবেষণা যা বলছে: বরফপানিতে গোসল করা কী আদৌ ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বরফপানিতে গোসল করা কী আদৌ ভালো? কেও কেও বলেন, শরীরে…

% দিন আগে