দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ওষুধ খান, মলমও ব্যবহার করেন। কেও কেও আবার লেজার থেরাপির সাহায্য নেন। তবে আঁচিল কমাতে আপনি ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকার উপর।
শরীরে একটা-দুটো আঁচিল থাকলে অনেকেই সেগুলোকে তেমন একটা গুরুত্বই দেন না। তবে সারা শরীরে আঁচিল হতে শুরু করলে অস্বস্তির কারণও হয়ে ওঠে। কখনও ভাইরাসের আক্রমণে, আবার কখনও পোশাকের সংঘর্ষে আঁচিল হতে পারে শরীরে। অনেকের আবার জন্ম থেকেও আঁচিল থাকে। তবে সব ক্ষেত্রে আঁচিল সমানভাবে বড় হয় না। এক এক জনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার একেবারে ভিন্ন। আঁচিলের সমস্যা হতে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধও খান, আবার অনেকেই মলম ব্যবহার করেন। কেও কেও আবার লেজার থেরাপিরও সাহায্য নিয়ে থাকেন। তবে এইসবের সঙ্গে আঁচিল কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকায়।
অ্যাসপিরিন
অনেকের বাড়িতে এই ওষুধটি রাখেন। অ্যাসপিরিন গুঁড়ো করে তারসঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি আঁচিলের উপর লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর গজ দিয়ে ঢেকে সারারাত রেখে দিন। অ্যাসপিরিনে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বলে একটি উপাদানও রয়েছে। সেটি খুব সহজেই আঁচিলের বৃদ্ধি আটকেও দিতে পারে। নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললে পাবেন উপকার।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
এই ভিনেগারে ভেজানো তুলো আঁচিলের উপর রেখে গজ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে সারা রাত। অ্যাপল সাইডার ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড আঁচিল কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই
ওষুধের দোকানে খুব অল্প দামেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। প্রয়োজন মতো ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল বের করে সেই তেল আঁচিলের উপর লাগিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে সারা রাত রেখে দিতে হবে। এই টোটকাতেও উপকার পেতে পারেন।
কলার খোসা
কলার খোসা ছাড়িয়ে আঁচিলের অংশ ঢেকে রেখে দিতে হবে সারা রাত। প্রয়োজনে কোনও কাপড় বা টেপ দিয়ে এটি আটকে রাখতে পারেন শরীরের সঙ্গে। এই টোটকাতেও আঁচিলের সমস্যা কমে আসতে পারে।
রসুন
ত্বকের যত্নে রসুন ভিষণ উপকারী। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান। এটিকে অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান বলে। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গায় লাগালেও তাই উপকার পাবেন।
এইসব ঘরোয়া টোটকায় রাতারাতি ফল পাওয়ার আশা না করাই ভালো। ধৈর্য ধরে বেশ কিছু দিন কোনও একটি টোটকা মেনে চললে তবে হতে পারে মুশকিল আসান।
তবে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on নভেম্বর ৯, ২০২৩ 4:03 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী কাজল কখনই তার নামের সঙ্গে কোনো পদবি ব্যবহার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাড়ির বাগানে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ৪ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমের এই সময় ঘামাচির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আর তখন ঘামাচি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের ইনোভেটিভ ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন…