আবারও গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলা: নিহত ৩১

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালালো ইসরায়েল। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।

ইসরায়েল প্রায় নিয়মিতই গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে আসছে ও এই হামলা সেটিরই সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ। -খবর আল জাজিরার।

জানা গেছে, শরণার্থী শিবিরের ভেতরে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি বাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালানো হলে হতাহতের ওই ঘটনাটি ঘটে।

Related Post

মূলত গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ইসরায়েল গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে অসংখ্য হামলা চালিয়ে আসছে। সেগুলোও আবার প্রায়শই এমন সব এলাকা যেটি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ কিছু এলাকা বলেও পরিচিত।

ইসরায়েল অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে যে, সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছেন তারা। যদিও ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই কিন্তু বেসামরিক নাগরিক।

চলতি মাসের শুরুতেই টানা তিন দিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সেই সময় জানিয়েছিল যে, জাবালিয়ায় ইসরায়েলি সেই হামলায় ১৯৫ জন নিহত ও আরও ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়াও প্রায় একই সময় গাজা ভূখণ্ডের বুরেজ শরণার্থী শিবিরেও বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এতে অন্ততপক্ষে ১৫ জন নিহত হন।

উল্লেখ্য যে, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়াও ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ পড়ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। ইসরাইল মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল এবং বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গাতেই হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এইসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশিই শিশু। এছাড়াও নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারেরও বেশি।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ১৪, ২০২৩ 10:48 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক মার্কিন অভিনেতার মতে পুতিনই পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ নেতা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক ঘটলো ভ্লাদিমির পুতিনের। তার…

% দিন আগে

নারকেলের এই সারির মধ্যে একটি নারকেল মালা কাটা হয়েছে অসমানভাবে: খুঁজে বের করুন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নারকেলের এই সারির মধ্যে একটি নারকেল মালা কাটা হয়েছে অসমানভাবে।…

% দিন আগে

ভারতের ঐতিহাসিক জাহানীয়া মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

রাতের খাবার না খেয়ে চিকন থাকার চেষ্টা: শরীরের পক্ষে এটি কী আদৌ ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু…

% দিন আগে

শেয়ারট্রিপের মেগা ক্যাম্পেইন, শেয়ারট্রিপ পে’র মাধ্যমে জিতুন আকর্ষণীয় সব পুরস্কার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘গরমে চরম ব্যাপার’ নামে আকর্ষণীয় সব পুরস্কারে ভরপুর এক মেগা…

% দিন আগে

ইরানি পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং চাবুক মারার নির্দেশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…

% দিন আগে