কেবলমাত্র গ্রীষ্মেই নয় শীতেও নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়া উচিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমে ডাবের পানির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হলেও, শীতে সেই জনপ্রিয়তাও খানিকটা হলেও ভাটা পড়ে। অথচ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, শীতেও সুস্থ থাকতেও ডাবের পানিতে চুমুক দিতে পারেন।

লিভারের খেয়াল রাখতে হলে ডাবের পানির জুড়ি নেই। সেইজন্য অনেকেই এই পানীয়কে লিভার টনিক বলে থাকেন। তবে শুধু লিভার নয়, ডাবের পানি সামগ্রিকভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ডাব গরমে সুস্থ থাকার অন্যতম দাওয়াই হলেও, শীতে রোগবালাই থেকে দূরে রাখতে এই পানীয়ের বিকল্প নেই। বিশেষ করে পেটের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী। ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, মিনারেলস, ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা এই শীতের মৌসুমে ফিট থাকতে ভূমিকা সত্যিই অনবদ্য। গরমে ডাবের পানির জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হলেও শীতে সেই জনপ্রিয়তা খানিকটা ভাটা পড়ে। অথচ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, শীতে সুস্থ থাকতেও ডাবের পানিতে চুমুক দিতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়

Related Post

সাধারণ শীতকালেই রোগ-বালাইয়ের হানা বেশি থাকে। সেই জন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি চাই। ডাবের পানি প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর তাই মৌসুমি কোনও রোগ সহজেই বাসা বাঁধতে পারে না শরীরে। সবথেকে বেশি ভালো হয় যদি শীতে খালিপেটে প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি খেতে পারেন। ডাবের পানিতে রয়েছে রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, থিয়ামিনের মতো নানা উপাদান। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ডাবের পানির উপর ভরসা রাখায় যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে

শীতের সময় শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না মোটেও। তার উপর উৎসবের এমন মৌসুমে খাওয়া-দাওয়া তো রয়েছেই। যে কারণে ওজন তো কমেই না, উল্টো বাড়তে থাকা ওজন বশে রাখতে ডাবের পানি হাতিয়ারও হতে পারে। ডাবের পানিতে থাকা এনজাইম হজমশক্তি আরও উন্নত করে। হজম ঠিকঠাক হলে মেদ ঝরানোও সহজ হবে।

হাড় মজবুত রাখতে

সাধারণ শীতের এই সময়টিতে হাড়ের নানা সমস্যা লেগেই থাকে। গাঁটে গাঁটে ব্যথা বাড়ে, পেশিতে যন্ত্রণা হয়, হাঁটুতে ব্যথাসহ গোটা শীতকাল জুড়ে সঙ্গী হয় এগুলোও। ডাবের পানিতে থাকা ক্যালশিয়াম হাড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। হাড়ের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। হাড় ও পেশির খেয়াল রাখতেও এই দুটি উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ২১, ২০২৩ 2:30 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে

আপনার স্মার্টফোন আগুনের মতো গরম হচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গ্রীষ্মে শুধুমাত্র শরীরই নয়, গরম হচ্ছে আমাদের স্মার্টফোনটিও। ফোন…

% দিন আগে

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে

পাহাড়-পর্বতের এক অসাধারণ দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে