হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মৃত ঘোষণা পরও জীবিত পাওয়া গেলো মর্গে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন এক নারীকে। তারপর দিলেন ডেথ সার্টিফিকেট। নিয়ম অনুযায়ী, মরদেহ পাঠানো হলো মর্গে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা যাকে মৃত হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন; তাকে মর্গে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেলো!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি ব্রাজিলের সান জোসেতে ঘটেছে এমন এমন একটি ঘটনা। ওই নারীর নাম নোরমা সিলভেইরা ডি সিলভা। তার বয়স ৯০ বছর। ওই নারীর কেয়ারটেকার এবং বন্ধু জেসিকা মার্টিনস পেরেরা বলেছেন যে, অসুস্থ হলে নোরমাকে সাও জোসের আঞ্চলিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তিনি দীর্ঘদিন যাবত লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিন সন্ধ্যায় যখন তিনি তাকে দেখতে যান; তখন দেখতে পান যে ৯০ বছর বয়সি নোরমা সিলভেইরা একটি চোখ খুলেছেন ও তার দিকে তাকিয়ে আছেন। তবে ওইদিন রাতে তাকে জানানো হয়, নোরমা মারা গেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তার ডেথ সার্টিফিকেট দেয়।

তাতে বলা হয়, ইউরেনারি ট্রেক্ট ইনফেকশনে তার মৃত্যু ঘটেছে। তবে নিকটাত্মীয়দের মরদেহ দেখতে না দিয়ে দ্রুত সেটি মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। তারপর তার মরদেহ সংগ্রহের জন্য যখন একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মী মর্গে যান ও বডি ব্যাগটি খোলেন; তখন তিনি দেখতে পান যে নোরমার শরীর তখনও গরমই ছিল ও তিনি তখন শ্বাসের জন্য হাঁসফাঁস করছিলেন। এমন ঘটনায় চমকে যান ওই কর্মী। তিনি দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অবহিত করলে তাকে আবারও দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়। তবে এর দুইদিন পর সত্যি সত্যিই মৃত্যু হয় তার।

Related Post

নোরমা সিলভেইরার কেয়ারটেকার জেসিকা জানিয়েছেন যে, নোরমা ২ ঘণ্টা বডি ব্যাগের ভেতর থেকে অক্সিজেনের জন্য হাঁসফাঁস করেন। তবে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তী সময় নোরমার জন্য দ্বিতীয় ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয় যে, সেপসিস শক হয়ে মারা গেছেন নোরমা। এই নারীর পরিবারের সদস্যর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও ব্রাজিলের সরকারও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ৫, ২০২৩ 12:42 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

পেসমেকার হ্যাকিং: ঝুঁকি ও বাস্তব জীবনের কাহিনী

মোহাম্মদ শাহজালাল ॥ পেসমেকার হল একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা হৃদযন্ত্রের (হার্ট) নির্দিষ্ট স্পন্দন বা ধাপ…

% দিন আগে

ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি শক্তিশালী করার জন্য কৃষকের জন্য আইফার্মার নিয়ে এলো “ফার্মার কার্ড”

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ক্যাশলেস অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত করতে নানা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে…

% দিন আগে

আবারও বিয়ের পিড়িতে বসলেন সানি লিওন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল সানি লিওন আবারও বিয়ের পিড়িতে বসলেন।…

% দিন আগে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…

% দিন আগে

ব্র্যাক ব্যাংক এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বেসিসের

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…

% দিন আগে

৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…

% দিন আগে